অনলাইন ডেস্ক : গ্রামীণফোন ও রবির বিদ্যমান ভয়েস ও ডাটা প্যাকেজের নবায়ন বন্ধ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। যেকোনো নতুন প্যাকেজ অনুমোদন স্থগিতে সংস্থাটির সাম্প্রতিক পদক্ষেপ আরো সম্প্রসারিত করা হচ্ছে।
দেশের দুই বৃহত্ মোবাইল অপারেটরের কাছ থেকে ১৩ হাজার ৪৪৬ কোটি ৯৫ লাখ নিরীক্ষা দাবি আদায়ের উদ্যোগের অংশ হিসেবে নিয়ন্ত্রণ কমিশনটি এই পদক্ষেপটি নিয়েছে।
বুধবার বিটিআরসির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, অনুমোদন নবায়নের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে টেলিকম নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
মন্ত্রণালয় যখন সেটি অনুমোদন দেবে, কমিশন তখন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারবে।
এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দুই মোবাইল অপারেটরের কর্মকর্তারা বলেন, এসব উদ্যোগে গ্রাহকদের ভোগান্তি তীব্রতর হবে। এর আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনাপত্তি সনদ ইস্যু না করার প্রভাব পড়েছে গ্রাহকদের ওপর।
বর্তমানে প্রচারমূলক অফারগুলো বাদেই গ্রামীণফোনের ৪০টি ভয়েস, ডাটা প্যাকেজের অনুমোদন রয়েছে। আর রবি গ্রাহকদের জন্য রয়েছে ১০০টি প্যাকেজ ও অফার।
সাধারণত এক বছরের জন্য বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরগুলোকে প্যাকেজের অফারের অনুমোদন দেয়। এরপর তারা সেই সব প্যাকেজ কমিশনের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে একবছরের বেশিও চালাতে পারে।
চলমান প্যাকেজগুলোর নবায়ন বাদেও নিয়ন্ত্রণ সংস্থার দাবি করা অর্থ পরিশোধ না করায় টেলিকম আইন লঙ্ঘনের কারণে কেন তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে না, তা জানতে জিপি ও রবিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে টেলিকম মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দিয়েছে বিটিআরসি।
চলতি বছর গ্রামীণফোনের কাছ থেকে নিরীক্ষা দাবি হিসেবে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ এবং রবির কাছ থেকে আটশ ৬৭ কোটি টাকা দাবি করছে বিটিআরসি।
কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থার দাবি ত্রুটিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে অর্থ পরিশোধ থেকে বিরত রয়েছে এই দুই টেলিকম অপারেটর।
সাম্প্রতিক সংবাদ সম্মেলনে জিপি জানায়, নিরীক্ষা দাবির বিতর্ক সমাধানে তারা সালিসি আইন ২০০১ অনুসরণ করছে। যদিও টেলিকম নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিতর্কের সমাধানে ওই আইন অনুসরণের কথা অস্বীকার করেছে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, এই বিতর্ক নিরসনে টেলিকম আইনে সালিসি আইন মানার কোনো সুযোগ নেই।