অনলাইন ডেস্ক : গ্যাসের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। এ ছাড়া টেক্সটাইল শিল্পের ক্যাপটিভ খাতে গ্যাসের নতুন ট্যারিফকে সহনীয় মনে করছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)।

রোববার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে সংগঠন দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

এফবিসিসিআই’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের এ পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে গ্যাসের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত এই খাতকে ঘুড়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। এছাড়াও সিএনজির দাম অপরিবর্তিত রাখার ফলে গণপরিবহণের ভাড়া আগের মতোই থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এফবিসিসিআই মনে করে, দেশের সব ধরনের শিল্প খাতের সক্ষমতা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে এই নতুন মূল্যহার নির্ধারণ করা হয়েছে।

এফবিসিসিআই সভাপতি বিশ্বাস করেন, গ্যাসের দাম নির্ধারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্ত দেশের শিল্পায়নকে আরও ত্বরান্বিত ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করবে।

রোববার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলেন গ্যাসের নতুন দাম সম্পর্কে জানানো হয়। নতুন মূল্যহার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিতরণ কোম্পানিগুলোর ১০০ শতাংশের বেশি দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিপরীতে ক্যাপটিভ বিদ্যুতে সাড়ে ১৫ শতাংশ, বৃহৎ শিল্পে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, মাঝারি শিল্পে ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। বিপরীতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প খাতের জন্য গ্যাসের দাম প্রায় ৩৭% কমানো হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়ানো হয়েছে ১২ দশমিক ৮১ শতাংশ।

অন্যদিকে ক্যাপটিভ খাতে গ্যাসের নতুন ট্যারিফকে স্বাগত জানিয়ে বিটিএমএ বলছে, গ্যাসের নতুন ট্যারিফ প্রধানমন্ত্রীর একটি দূরদর্শী ও ইতিবাচক সিদ্ধান্তের প্রতিফলন। যেসব মিল গ্যাস দ্বারা বিদ্যুৎ উৎপাদনপূর্বক পরিচালিত হচ্ছে, তাদের কাছে তা মোটামুটিভাবে সহনীয় হবে। ফলে বিশ্বব্যাপী কাঁচামালের সাপ্লাই-চেইনে যে অস্থিরতা রয়েছে তা উত্তরণের মাধ্যমে তৈরি সুতা কাপড়ের মূল্য প্রতিযোগিতামূলক করার ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত গ্যাস ট্যারিফ অনেকটাই অবদান রাখবে।