অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধে পদক্ষেপ না নেওয়া দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিশ্ব গাজায় হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করছে, কিন্তু তা বন্ধে কেউ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
ফিলিস্তিনের ফতেহ আন্দোলনের (শাসক দল) মহাসচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউব রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। খবর বাসসের
নজরুল ইসলাম বলেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে নীরব অবস্থানের জন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি এক ধরনের ভন্ডামি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত এবং এটি করা উচিত মুসলিম উম্মাহর নিরাপত্তা ও ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা লাঘবের জন্য।’ প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার দ্ব্যর্থহীন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি গাজায় নারী-শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ হত্যা এবং হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার নিন্দা জানান। গাজায় মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মিশরের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য দুই দফা ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি যেখানেই সুযোগ পেয়েছি ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে আওয়াজ তুলেছি।’
ফিলিস্তিনের ফতেহ আন্দোলনের মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার নিঃশর্ত সমর্থন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আওয়াজ তোলার জন্য ধন্যবাদ জানান।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউব বলেন, অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করা দরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এজন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। এই যুদ্ধ বন্ধ না হলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক শান্তি কখনোই প্রতিষ্ঠিত হবে না।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একটি চিঠিও হস্তান্তর করেন।
সমরাস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে স্বাধীনতা দিবস এবং জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সম্মিলিত সমরাস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেছেন। সোমবার সকালে ফিতা কেটে, বেলুন উড়িয়ে প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন তিনি।
আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ প্রদর্শনী ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এতে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী তাদের সমরাস্ত্রসহ সরঞ্জাম প্রদর্শন করে। এ উপলক্ষে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমানের ফ্লাই-পাস্ট এবং অনুষ্ঠানস্থলে হেলিকপ্টার থেকে সেনাবাহিনীর প্যারাট্রুপারদের সফল অবতরণ প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা তিন বাহিনীর বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সমরাস্ত্র সম্পর্কে তাকে ব্রিফ করার সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সৈন্যদের ব্যবহৃত বিভিন্ন হালকা ও ভারী অস্ত্র প্রত্যক্ষ করেন।
জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, সচিব, বিদেশি রাষ্ট্রদূত, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।