Home আন্তর্জাতিক গাজায় ‘অবিলম্বে’ যুদ্ধবিরতি পুনর্বহালের আহ্বান স্পেনের

গাজায় ‘অবিলম্বে’ যুদ্ধবিরতি পুনর্বহালের আহ্বান স্পেনের

অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। প্রায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল সম্প্রতি গাজায় সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করেছে এবং নারী ও শিশুসহ শত শত ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

বর্বরতার জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ। এমন অবস্থায় গাজায় ‘অবিলম্বে’ যুদ্ধবিরতি পুনর্বহালের আহ্বান জানিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ভিত্তিতে এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের তাগিদও দিয়েছেন তিনি।

বুধবার (২৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ মঙ্গলবার মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সাথে কথা বলেছেন। এসময় গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে ফিরে আসার বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।

আল-সিসি এবং বাদশাহ আবদুল্লাহর সাথে ফোনালাপে সানচেজ গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অবিলম্বে পুনর্বহালের পাশাপাশি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ভিত্তিতে এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ লিখেছেন, “ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির এই মর্মান্তিক বিপর্যয়ের অবসান ঘটাতে হবে আমাদের।”

প্রসঙ্গত, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রায় ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৬০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।

এছাড়া ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে ৫০ হাজার ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু এবং আরও ১ লাখ ১৩ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে ইসরায়েল।

Exit mobile version