অনলাইন ডেস্ক : গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে গুজব ছড়িয়ে বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা লোটার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সংকটময় সময়ে জনগণের পাশে না দাঁড়ানো বিএনপির মিডিয়াবাজির রাজনীতিতেও ভাটা পড়ায় তারা গণমাধ্যমকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গতকালের মন্তব্যের জবাবে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এমন কথা বলেন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কর্মভীরু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বাক্যালাপে বীরত্ব প্রদর্শন করছেন।
সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেছেন, গণমাধ্যম সত্য প্রচারে শঙ্কিত। আমরা বলতে চাই, গণমাধ্যম সত্য প্রচারে নির্ভীক।বরং বিএনপির সৃষ্ট গুজব প্রচারে অনীহ।প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে সংবাদকর্মীরা সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে অগ্রগণ্য।অধিকাংশ গণমাধ্যমের কর্মীরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ইতিবাচকভাবে কাজ করে চলেছেন।’ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মির্জা ফখরুল মন্তব্য করেছেন, বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ৪টি পত্রিকা ব্যতীত সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁর জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই, তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় দৈনিক, সাপ্তাহিক ও অন্যান্য মিলে ১২৬টির মতো সংবাদপত্র প্রকাশিত হত।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাকশাল ছিল গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রা এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান নিজেই বাকশালের কার্যকরী সদস্য ছিলেন।বাকশাল কোনো একদলীয় ব্যবস্থা ছিল না। এটি ছিল সকল মত-শ্রেণী-পেশার সমন্বয়ে একটি জাতীয় দল।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে যদি গণতন্ত্র না-ই থাকে তাহলে বিএনপির নেতৃবৃন্দ কীভাবে সরকারের বিরুদ্ধে এত মিথ্যাচার করার সুযোগ পান? বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে ৯৯ শতাংশ ভোট ডাকাতির কথা দেশবাসী জানে। সামরিক শাসনতন্ত্রের মোড়কে ১৯৭৯ সালের গণতান্ত্রিক নির্বাচনও দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছিল। বিএনপির মুখে আর যা-ই হোক, গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।
করোনা সংকট জয়ের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের আহবান জানান ওবায়দুল কাদের।