অনলাইন ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে আবেদন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় গেছেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার।
আজ বুধবার (৫ মে) রাত সাড়ে ৮টায় খালেদা জিয়ার ভাই শামাীম ইস্কান্দর খালেদা জিয়ার চিকৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর জন্য আবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জমা দেন। পরে সেটি রাতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিবের কাছে দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে বুধবার রাতেই খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিষয়টি সরকার পজিটিভলি দেখছে বলে জানা গেছে।
এদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। তার অক্সিজেন লেভেল ওঠানামা করছে। করোনা ছাড়াও বেশ কিছু জটিল রোগে আক্রান্ত বেগম জিয়া বুধবার সকাল থেকে কিছুটা শ্বাসকষ্ট অনুভব করছেন। তার ডায়াবেটিসের মাত্রা ওঠানামা করছে। এ ছাড়া অক্সিজেনের মাত্রাও কিছুটা কমেছে।
খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসক মোহাম্মদ আল মামুন এসব তথ্য জানিয়েছেন। তার মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা বুধবার আবার নতুন করে আরো কিছু পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন। তার জরুরি চিকিৎসা সেবা পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে নার্স, ডাক্তার, টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্টসহ সংশ্লিষ্টরা সার্বক্ষণিক যুক্ত রয়েছেন।
তারা জানান, অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করার পর তার অক্সিজেন লেভেল ৯০ শতাংশের নিচে নেমে যায়। তবে আবার অক্সিজেন দেওয়ার পর তা ৯৯ শতাংশে চলে আসে। ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার জটিলতাগুলো দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করছেন চিকিৎসকেরা। কিছু নতুন ওষুধও দেওয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়া গত ১০ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন। গত ২৭ এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত সোমবার শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।