অনলাইন ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ১৪ দিন শেষ হয়েছে। এখনও কিছুটা দুর্বলতা থাকলেও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় খালেদা জিয়াকে দেখে এসে এ কথা জানান তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন। এ সময়, আগামী সপ্তাহে ফের বিএনপি নেত্রীর করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলে তিনি জানান।

গতকাল রাত রাত পৌনে দশটায় ডা. জাহিদ ও রাত সাড়ে ১০টায় ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন খালেদা জিয়ার বাসায় ঢোকেন। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন। খালেদা জিয়ার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে এ সময় জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপরসন বেগম জিয়ার বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলাম। তার ১৪তম দিন আক্রান্ত হওয়ার। সেচুরেশন সব সময় ৯৯% থাকে। খাবারের রুচি সবসময় ভালো ছিল। এখনো ভালো আছে। টেম্পারেচার তিন দিন যাবত আলহামদুলিল্লাহ। কোনো কফ-কাশি নেই অর্থাৎ করোনা সংক্রান্ত যে সকল উপসর্গ থাকা প্রয়োজন সেগুলো এই মুহূর্তে নেই। শুধু অল্প শারীরিক দুর্বলতা আছে।

তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর দুর্বলতা বেশ দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। প্রতিদিনই সেই দুর্বলতা আগের চেয়ে কিছুটা কমে যাচ্ছে। গতকালকে যে আজকে তার দুর্বলতা অনেক কম। নিজেও বলেছেন যে আজকে গত কালকের চেয়েও ভালো বোধ করছি। আগামী দু-একদিনের মধ্যে ব্লাড টেস্ট করা হবে।

খালেদা জিয়া কী শঙ্কামুক্ত? জানতে চাইলে জাহিদ বলেন, আসলে ঠিক আগের যে করোনা ছিল সেটার একটা নিয়ম ছিল শুরু হয়ে আস্তে আস্তে চলে যাওয়ার। কিন্তু এখন নতুন যে ধরন এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে রোগী ভালো হয়ে যাওয়ার পরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এখন আমার বলছি তার করোনা টেস্ট করানো হবে, সেটার কী রিপোর্ট আসবে? আমাদের মনে রাখতে হবে করোনা আক্রমণ করলে যেমন পজিটিভ আসে। আবার করোনা মৃত হয়ে থাকলেও কিন্তু পজিটিভ হয়। অর্থাৎ অনেক সময় ফলস পজিটিভও হয়, আবার ফলস নেগেটিভও হয়। কাজেই সার্বিকভাবে ধরলে তার অবস্থা উন্নতি হয়েছে বলা যায়।

ডা. জাহিদ বলেন, করোনা যে টেস্ট সেটিও করা হবে আগামী সপ্তাহে। সেটা সুবিধাজনক সময়ে মেডিকেল বোর্ডের আর ও সদস্যরা আছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সব সময়ে এ ব্যাপারে অত্যন্ত সজাগ। সেই সাথে ম্যাডামের পুত্রবধূ অর্থাৎ ডাক্তার জোবায়দা রহমান তিনি চিকিৎসার সমন্বয় করছেন।

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এবং শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।