অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বে প্রতি বছর যে কয়েকটি রোগে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় তার মধ্যে ক্যান্সার অন্যতম। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যান্সার হওয়ার সুনির্দিষ্ট কোনও কারণ নেই। তবে নানা কারণে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হতে পারে। এর মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অতিরিক্ত উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত খাবার গ্রহণ, খাদ্যতালিকায় ফাইবার জাতীয় খাবারের পরিমাণ কম রাখা ক্যান্সারের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
কিছু কিছু খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি যেমন বাড়িয়ে তোলে, তেমনি কিছু খাবার এর বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, টাটকা ফল- সবজিতে থাকা নানা উপকারী উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি ক্যান্সার ঠেকাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তবে এক্ষেত্রে বাজার পাওয়া ফলের রস বা প্যাকেটজাত মিষ্টির রসে ভরা ফল না খেয়ে তাজা ফল ও সবজি খাওয়া উচিত। যেসব ফল-সবজি ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে-
কলা : কলা সারাবছরই পাওয়া যায়। অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলে রোজ কলা খাওয়া যেতে পারে। সেলেনিয়ামের সক্রিয় যৌগের এক শক্তিশালী উৎস হচ্ছে এই ফল। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে মজবুত করার পাশাপাশি ক্যান্সারের কোষ বিনষ্ট করতে কলা ভূমিকা রাখে।
আপেল : কলার মতো আপেলও সারা বছর পাওয়া যায়। এতে থাকা প্রোসায়ানিডিনস ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।
ডালিম বা বেদানা : এই ফলে থাকা ফলিফেনল যৌগ ক্যান্সার সৃষ্টকারী কোষ ধ্বংস করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে।
কালো আঙুর : কালো আঙুরে থাকা রেসভেরাট্রল উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে সামগ্রিক ভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
কমলা : কমলায় থাকা হাইড্রক্সিফ্ল্যাভনয়েড উপাদান স্তন ও ফুসফুস ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করতে কার্যকর ভূমিকা নেয়। এছাড়া লেবু জাতীয় সব ফলই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
টমেটো : টমেটোয় থাকা লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার রোধে ভূমিকা রাখে।
ব্রকলি : সবুজ রঙের এ সব্জিটি ইনডোল-৩ কারবিনোল নামক ফাইটোকেমিক্যালসের অন্যতম ভাণ্ডার। এই উপাদানটি ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে পারে।
বিট : বিটে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিটা সায়ানিন থাকায় এটি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু ক্যান্সার প্রতিরোধকারী খাবার খেলেই চলবে না, এ রোগ এড়াতে সিগারেটসহ সব ধরনের তামাক সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া ওজন ঠিক রাখতে নিয়ম করে শরীরচর্চা করাটাও জরুরি।