সোনা কান্তি বড়ুয়া : ২০১২ সালে ২৯ শে সেপ্টেম্বর ইসলামি জঙ্গীরা ফেক আইডিতে রামু, উখিয়া ও পটিয়ায় বৌদ্ধ জনপদে আগুন দিয়ে তান্ডব দাহন করেছে। প্রতিটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগণের হামলার প্রেক্ষাপট একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস ষড়যন্ত্র। ফেক আইডি বানিয়ে কোরআন নিয়ে ধর্মান্ধদের ষড়যন্ত্রের পর্দা এখন ফাঁস হয়েছে। মুসলমান যেই মানব, হিন্দু-বৌদ্ধ ও সেই মানব। ফেসবুকে কোরাণ অবমাননার দুর্নীতি বধে বাহাত্তরের সংবিধান! আল্লার গজব ইউরোপের কোরান পোড়ানোর ঘটনা ও বাংলাদেশে কোরাণের নামে রামু বৌদ্ধ বিহার ধ্বংস কেন? মুসলমান যেই মানব, হিন্দু বৌদ্ধ ও সেই মানব। ২০১২ সালে ২৯ শে সেপ্টেম্বর ইসলামি জঙ্গীরা রামু, উখিয়া ও পটিয়ায় বৌদ্ধ জনপদে আগুন দিয়ে তান্ডব দাহন করেছে। আজ ইউরোপের সুইডেন, নেদারল্যান্ডের পর এবার পবিত্র কোরান পোড়ানো হলো ইউরোপের আরেক দেশ ডেনমার্কে! একের পর এক কোরান পোড়ানোর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ গোটা মুসলিম বিশ্ব। যে ইউরোপকে বলা হয় সভ্যতার মানদণ্ড, রাজনীতির নামে সে ইউরোপেই চলছে সা¤প্রদায়িক উস্কানি? (PROTHOM ALO 28 JANUARY 2023)!
বিশ্বমানবতার পুন্য বাঁধনে মনুষ্যত্ব বিকাশে হিন্দু-বৌদ্ধ ও মুসলমান জনগণের ধর্ম! প্রতারণার রাজনীতিতে রামুর মুসলমান ধর্মান্ধরা ফেক আইডিতে কোরআন নিয়ে বৌদ্ধ বিহারে আগুন ও ইউরোপে কোরানে আগুন! আইনের শাসনে বাংলাদেশে প্রতিটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগণের হামলার প্রেক্ষাপট একটি ফেসবুক ষড়যন্ত্রের স্ট্যাটাস বাংলাদেশে কেন? ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠী ধর্মীয় সংখ্যালঘু বৌদ্ধ জনগণের সম্পদ হরিলুট করতে রামুর (INCLUDING SEVERAL PARTS OF বাংলাদেশ) ২৫ হাজার ইসলামী জঙ্গি ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০১২ রামুর মুসলমান ফেইসবুকে উত্তম বড়ুয়ার ফেক আইডি বানিয়ে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে উত্তম বড়ুয়াকে হত্যার ভেতর দিয়েএবং মুসলমান মৌলবাদী গোষ্ঠী রামুর ২৩টি বৌদ্ধ বিহার ধ্বংসযজ্ঞ ধর্মান্ধদের ষড়যন্ত্রের পর্দা এখন ফাঁস হয়েছে। বাংলাদেশে সংসারজীবনে ও বৌদ্ধদের ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবোধেরও যে একটা মূল্য আছে তা বৌদ্ধরা অনুভব করলেন ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে রামুর মুসলমান ফেইসবুকে উত্তম বড়ুয়ার ফেক আইডি বানিয়ে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে উত্তম বড়ুয়াকে হত্যার ভেতর দিয়ে!
ধর্মান্ধরা কোরাণে পদচিহ্ন দিয়ে রামু বৌদ্ধ বিহার ধ্বংসযজ্ঞ করেছে! ধর্ম কি রহস্যময় প্রহেলিকার নাম? মানবাধিকারের আলোকে ধর্মকে অবমাননা করার অধিকার যেমন কারো নেই, তেমনি আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে রামুর ও বাংলাদেশে বৌদ্ধ বিহার, মন্দির, বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাংচুর ও নির্যাতন করার অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি। হিংসায় উন্মত্ত ধর্মান্ধ মুসলমানদের উগ্র সা¤প্রদায়িকতায় শান্তিকামী বৌদ্ধদের অহিংসা পরম ধর্ম! আইনের শাসনে বাংলাদেশে ধর্মান্ধরা কোরাণে পদচিহ্ন দিয়ে বৌদ্ধ বিহার ধ্বংসযজ্ঞ করষ মনুষ্যত্ব বিকাশে মুসলমান ধর্ম নয়!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এখনো দেশে আস্ফালন করে। এখনো সক্রিয় এই অপশক্তি দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে খুশি নয়। নানা সময় তারা দেশের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়। তারা করোনার সময়, পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে এবং এখন তারা দেশের মানুষকে নিয়ে মশকরা শুরু করেছে। এই অপশক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।” ধর্মান্ধ দুর্বৃত্তরা কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে রামু বৌদ্ধ বিহার ধ্বংসযজ্ঞ করেছে কেন? মুসলমান ফেইসবুকে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই বাংলাদেশে চিটিংবাজ নির্লজ্জ ধর্মান্ধ রাজনীতির মৌলবাদী গোষ্ঠী!
জামায়াতে ইসলামী দলটির নেতাকর্মী এবং প্রশাসকগন বাংলাদেশের স্বাধীনতার রাষ্ঠ্রদ্রোহী ছিলেন এবং উগ্র জামায়াতে ইসলামী দলটির নেতাকর্মীদের বিচার না হলে তাদের ঔদ্ধত্য বাঙালি জাতিকে নষ্ট করে দেবে! ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তিই হিংস্র জীব-জানোয়ারের চেয়েও ভয়ঙ্কর মানুষরূপী কোন জীব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত লিখেছেন, “জামায়াতের উগ্র সা¤প্রদায়িকতার বাহক শক্তিটি ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে জনগণের সম্পদ হরিলুট করেছে! গবেষণার তথ্যানুসারে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে মৌলবাদের অর্থনীতির বার্ষিক নিট মুনাফা আনুমানিক ২ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। এ মুনাফার সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ ৬৬৫ কোটি টাকা আসে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে (ব্যাংক, বীমা, লিজিং কোম্পানি ইত্যাদি); দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮.৮ শতাংশ ৪৬৪ কোটি টাকা আসে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ট্রাস্ট ও ফাউন্ডেশন থেকে; বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুচরা, পাইকারি, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে ২৬৬ কোটি টাকা আসে ১০.৮ শতাংশ; ওষুধ শিল্প ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকে আসে ১০.৪ শতাংশ ২৫৬ কোটি টাকা; স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসে ৯.২ শতাংশ ২২৬ কোটি টাকা; রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে আসে ৮.৫ শতাংশ ২০৯ কোটি টাকা, সংবাদ মাধ্যম ও তথ্য প্রযুক্তি থেকে আসে ৭.৮ শতাংশ ১৯৩ কোটি টাকা, আর রিকশা, ভ্যান, তিন চাকার সিএনজি, কার, ট্রাক, বাস, লঞ্চ, স্টিমার, সমুদ্রগামী জাহাজ, উড়োজাহাজের মতো পরিবহন-যোগাযোগ ব্যবসা থেকে আসে ৭.৫ শতাংশ বা ১৮৫ কোটি টাকা।”
জামায়াত মৌলবাদীগোষ্ঠীর অন্যায় ন্যায় হল, সত্য হল অসত্য, অসত্য হল সত্য, অধর্ম যুদ্ধ হল ধর্ম যুদ্ধ! একটি সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী বাংলাদেশ থেকে হিন্দু বৌদ্ধ জুম্মদের তাড়িয়ে দিয়ে সম্পদ ও রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাইছে। তাই যারা সা¤প্রদায়িক হামলা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রসঙ্গত:চিটিংবাজ মৌলবাদী গোষ্ঠী ইসলাম ধর্মের অবমাননায় বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ নির্যাতন! আর প্রতিটি হামলার পরপরই এলাকা থেকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা চলে যায়। কখনও তারা এলাকা ছাড়ে, কখনওবা ছাড়ে দেশ। আবার কখনও খুবই অল্প দামে জমি বিক্রি করতে বাধ্য হয়। ইসলাম ধর্ম অবমাননায় হিন্দু হত্যা ও ফেক আইডিতে কোরাণ অবমাননা কেন? কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে রামুর মৌলবাদী মুসলমান শক্তি বাংলাদেশের হিন্দু ও বৌদ্ধ বিদ্বেষী নীতিতে হিন্দু শব্দটাতে কাঁটাতারের বেড়া প্রতিষ্ঠা করেছে।
বিশ্বমানবতায় উদ্ভাসিত ধরনীতল এবং হিংসা ও লোভের নাম ধর্ম নয়। বাংলাদেশে ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠীর রাজনীতি কোরআন নিয়ে হিন্দুদের ধর্মে হস্তক্ষেপ করেছে’ গত ১৩।১০।২০২১ ইং তারিখে! জে: জিয়াউর রহমান রাষ্ঠ্রদ্রোহী জামাত শাহ মোয়াজ্জেমকে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ধ্বংস করতে যুদ্ধাপরাধী ও জামাতকে নিযুক্ত করে চলে গেছে। জে: জিয়াউর রহমান এবং জে: এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে রাষ্ঠ্রদ্রোহী রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়ে ইসলাম ধর্মের নামে বিহারী ও রোহিঙ্গা শরনার্থীদের নিয়ে পাকিস্তান রাজনীতি বাংলাদেশে রামুর হিংস্র বিশ্বসঘাতক ধর্মান্ধরা!
বৌদ্ধ বাংলার চর্যাপদে আমরা দেখতে পাই সেন আমলে গায়ের জোরে উচ্চবর্ণের হিন্দু শাসকগণ বৌদ্ধগণকে দলিত বানিয়েছিলেন! এবং বাঙালী সমাজে বৌদ্ধ মুক্তিযুদ্ধে বৌদ্ধ চর্যাপদ বৌদ্ধ সাহিত্য ও বৌদ্ধ ইতিহাস বিষয়টি পারস্পরিক। যেখানে স্মৃতির নির্মাণ-বিনির্মাণ, সভ্যতার অস্তিত্ব, ক্রমবিবর্তনের প্রতিষ্ঠা নিয়ে গড়ে ওঠে চর্যাপদে বৌদ্ধ চর্চার আগ্রহ। যা একই সুতোয় বাঁধা পড়তে পড়তে পরিণত হয় এক ঘটনামূলক প্রবণতায়। আর এই প্রবণতা ধরেই উঠে আসে আদিম পরম্পরা, সংস্কার রক্ষার তাগিদ, অন্তর্নিহিত শৈল্প-নৈপুণ্যের প্রতিফলন। যার প্রকাশ ঘটে ভাষায়, প্রকরণে, রুচিতে, চিন্তা ও চেতনায়। আবার এই চিন্তা চেতনা বিকাশ – সমস্ত কিছুর হাত ধরে মুষ্ঠিবদ্ধ হয় বৌদ্ধ বাঙলষ সাহিত্যে চর্যাপদের রেখাপাতে। এই রেখাপাতের প্রাসঙ্গিকতাই আদিসম ভাষা-সাহিত্যের প্রবর্তনে। ‘প্রাচীন বৌদ্ধ ভারতের সংক্ষিপ্ত রূপরেখা ও সাহিত্য’ এসব কিছুরই একটি সংক্ষিপ্ত অধ্যায়। চর্যাপদে আমরা দেখতে পাই সেন আমলে গায়ের জোরে উচ্চবর্ণের হিন্দু শাসকগণ বৌদ্ধগণকে দলিত বানিয়েছিলেন এবং বাঙালী সমাজের এই করুণ ছবি দেখতে পাই ৩৩ নং চর্যায়। “টালত মোর ঘর নাঁহি পড়বেসী। হাড়ীতে ভাত নাঁহি নিতি আবেশী। এর মানে, নিজ টিলার উপর আমার ঘর। প্রতিবেশী নেই। হাঁড়িতে ভাত নাই, অথচ নিত্য ক্ষুধিত।”
প্রতিটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগণের হামলার প্রেক্ষাপট একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস। প্রতিবারই ঘটনা ঘটার বেশ কিছুদিন পর সরকার থেকে বলা হয়- হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হবে; সে যে দলেরই হোক না কেন; রেহাই পাবে না। কিন্তু আর কিছুই হয় না। শুধু ঘোষণা আসে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামত কিংবা নির্মাণের। কিন্তু ভুক্তভোগী অনেকেই বলেন, নতুন ঘরবাড়ি তাঁরা চান না। বরং তাঁরা নিরাপদ জীবন চান। এখানে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি- কারা, কী জন্য এই হামলাগুলো করে বা করায়। এর পেছনে কী উদ্দেশ্য? এর পেছনে থাকে মূলত ভ‚মি দখলের রাজনীতি। হামলাকারীরাও ‘সাধারণ’ কোনো মানুষ না। ভ‚মি দখলের বাইরে ভোটের রাজনীতিও এর সঙ্গে যুক্ত। ধারাবাহিকভাবে এত সা¤প্রদায়িক হামলার পরও জঘন্য চাতুরীরমৌখিক হুঁশিয়ারি ছাড়া এখন পর্যন্ত আর কোনো ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি সরকার। কারণ, বাংলাদেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের রাজনৈতিক প্রয়োজনে যখন-তখন ধর্মকে ব্যবহার করছে। তারাও তাই নিশ্চুপ থেকে এই হামলাকারীদের রাজনৈতিক আশকারা দেয় এবং হিসাব কষতে থাকে- কীভাবে এটিকে নির্বাচনে ব্যবহার করা যায়। লক্ষণীয়, বাংলাদেশে ধর্মহীন বিজ্ঞান খোঁড়া, বিজ্ঞানহীন ধর্ম অন্ধ”!
বাংলাদেশের স্বাধীনতা কি শুধু মুসলমানদের ইসলাম ধর্মের জন্য? যুগান্তর পত্রিকার প্রতিবেদনে “বাংলাদেশে সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা লেখা চালু করার দাবিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে (যুগান্তর প্রতিবেদন, ১৭ আগস্ট ২০২০! বাংলাদেশে ধারাবাহিক ভাবে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে হওয়া আক্রমণ ও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে আজ বাংলাদেশের কাছে উদ্বেগ জানাল নরেন্দ্র মোদী সরকার থেকে (আনন্দবাজার পত্রিকা 19 NOVEMBER 2022)! বাংলাদেশের স্বাধীনতায় হিন্দু বৌদ্ধ, পাহাড়ী সহ খৃস্টানদের ধর্মীয় নিপীড়ন কেন? মানবজাতির হৃদয়াসনে মানবতা চির দেদীপ্যমান হয়ে ছিল, আছে এবং থাকবে। হিন্দু বৌদ্ধ জুম্ম ও পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ মুসলমান মৌলবাদী গোষ্ঠীর ইসলাম ধর্ম অবমাননায় ফেক আইডিতে জিম্মি।
মুসলমান যেই মানব, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ঠান সহ পাহাড়িরা ও সেই মানব সন্তান বা আশরাফুল মাখলুকাত। বাংলাদেশে ধর্মান্ধ গনকে তুলোধোনা করতে DAILY ইত্তেফাক REPORTED অনুষ্ঠানে (17 November 2020) তরুণ সংগঠকদের উদ্দেশ্যে সজীব ওয়াজেদ বলেন, প্রতিবার আপনাদের দেখে আমি অনুপ্রাণিত হই। তিনি বলেন, আমাদের দেশে নালিশ করার একটা সংস্কৃতি রয়েছে। কিন্তু এই তরুণদের দেখুন, তারা নালিশ না করে নিজ সমাজের সমস্যা সমাধানে নিজ মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। অন্যের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশে জীবন দর্শনের প্রতীক সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা প্রসঙ্গ! সচিত্র প্রতিবেদন পাঠে জনতা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায় জেনেছেন,
“মানুষের অধিকারে বঞ্চিত করেছ যারে,
সন্মুখে দাঁড়ায়ে রেখে তবু কোলে দাও নাই স্থান,
অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান।
মানুষের পরশের প্রতিদিন ঠেকাইয়া দূরে
ঘৃণা করিয়াছ তুমি মানুষের প্রাণের ঠাকুরে!
বিধাতার রুদ্ররোষে দূর্ভিক্ষের দ্বারে বসে
ভাগ করে খেতে হবে সকলের সাথে অন্নপান। …
যারে তুমি নীচে ফেল সে তোমারে বাঁধিবে যে নীচে,
পশ্চাতে রেখেছ যারে সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।”
১৯৭২ সালের ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রথম খন্ডে প্রকাশিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানানুসারে বাংলাদেশ ইসলাম ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র নহে। ধর্মান্ধ মুসলমানগনের আক্রমণের শিকার CHITTAGONG রাঙ্গুনিয়া ফলারিয়া জ্ঞানশরণ মহারণ্য বৌদ্ধ বিহার কেন? এবং ১৯৭২ সালের ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রথম খন্ডে প্রকাশিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানানুসারে বাংলাদেশ ইসলাম ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র নহে। হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খৃষ্ঠান সহ সর্ব ধর্মের মানুষ একত্রে মানুষের ভাই বোন আত্মীয় স্বজন। কোন মানুষ অন্য মানুষের শত্রু নয়। গত ২২ জানুয়ারি ২০২১ একদল সচেতন ম্রো ছাত্র স্থানীয় এনজিওকর্মী ও সমাজকর্মীদের সহযোগিতায় কক্সবাজারের ‘ঈদগাহ উপজাতীয় মুসলিম কল্যাণ সংঘ’ নামক এক প্রতিষ্ঠান থেকে এই শিশুদের উদ্ধার করে।
রামুর বেঈমান মুসলমান বৌদ্ধ বিহার বুদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধ বাড়ি ধ্বংস করষর বিচার এবং ৭১-এর গণহত্যার বিচারের বানী নিরবে নিভৃতে কাঁদে! ৭১-এর গণহত্যার আলোচনাকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী বাঙালিরা ইতোমধ্যে সোচ্চার হয়েছে! রাজাকার ও ধর্মব্যবসায়ীদের সব অপচেষ্টা ব্যর্থ করে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তবে রাজাকারদের ধর্মব্যবসা থামেনি। এরা এখনও ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে মানুষকে প্রতারিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাজাকারদের ধর্মান্ধ ইসলামি রাজনীতির এতো উলঙ্গ দর্প বাংলাদেশে কেন? জয় সত্য ও মানবতার জয়। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী বাঙালিরা ইতোমধ্যে সোচ্চার হয়েছে!
পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে সরকারের হাতে বৌদ্ধ জনগণ ও পাহাড়ী মানুষগুলোর নির্যাতনসহ বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস লেখা হলে পাঠকগণ দেখবেন,তা হলোকাষ্টের চেয়ে কম বীভৎস নয়। হযরত শাহজালাল (র) এসে ইসলাম প্রচার করলে বাংলাদেশে সিলেটের অনেক বাঙালি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছিলেন। তাঁর আগে গৌতমবুদ্ধ বগুড়ায় এসে বাংলাদেশে বৌদ্ধধর্ম প্রচার করেছিলেন। অতীশ দীপংকর শ্রীজ্ঞান এবং গৌতমবুদ্ধের নামে বাংলাদেশে কোন বিমানবন্দরের নামকরন আজ ও হয়নি। মুসলমান দুর্বৃত্তরা রামুর বৌদ্ধবিহার ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগ পাশবিক বৌদ্ধ নির্যাতন চালিয়েছে! আমাদের বাংলাদেশ আমাদের ধর্ম এবং প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিকজনগণ!
১৯৭২ সালের সংবিধান বাঙালির রক্তে রক্তে প্রবহমান! পাকিস্তান ও সাতচল্লিশের ধর্মান্ধ ধর্মের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে স্বাধীনতার অভ্যুত্থান! আইনের শাসনে গরীব জনতা দলিত মিসকিন, মুরতাদ, কাফের, চন্ডাল ¤েøচ্ছ ডোম হলো কেন? ধর্মের অপব্যবহারের কারনে ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সরকারের গুলিতে ঢাকার রাজপথ সালাম, রফিক, বরকতসহ কত শত নাম না জানা শহীদদের রক্তে রক্ত্ক্তা হলো এবং সেই বাংলা ভাষার আন্দোলন আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার জন্মদাতা শহীদ মিনার হয়ে বিরাজমান। মানবজাতির হৃদয়াসনে মানবতা চির দেদীপ্যমান হয়ে ছিল, আছে এবং থাকবে।
আইনের শাসনে ধর্মান্ধরা বৌদ্ধ বাংলা ধ্বংস করতে আবার ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে রামুর মসলমান ফেইসবুকে উত্তম বড়ুয়ার ফেক আইডি বানিয়ে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে উত্তম বড়ুয়াকে হত্যা করে এবং মৌলবাদী গোষ্ঠী রামুর ২৩ টি বৌদ্ধ বিহার ধ্বংসযজ্ঞ করেছে! বৌদ্ধ বিহার ধ্বংসযজ্ঞ করেছে মানুষের বাড়িঘর আর প্রতিষ্ঠানে আগুন জ্বালিয়েছিলো! বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ধর্মান্ধ জামায়াতে সংগঠন! কথাশিল্পী শওকত আলীর লেখা “প্রদোষে প্রাকৃতজন” এবং “দুষ্কালের দিবানিশি” গ্রন্থদ্বয়ে দক্ষিন এশিয়ার হিন্দু মুসলমান শাসকগণ কর্তৃক বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের রক্তাক্ত ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছেন।
বাংলাদেশে বৌদ্ধধর্মকে ধ্বংস করার নাম বৌদ্ধ বিহারে ধর্মান্ধ মুসলমানগনের আক্রমণ! বাংলাদেশে ধর্মান্ধ কে চোর, নরাধম, তস্কর, কীট, শৃগাল ইত্যাদির সঙ্গে তুলনা করেছেন। দেশদ্রোহী জামাতের রাজনীতি হিন্দু বৌদ্ধদের মুসলমান বানষচ্ছে! দেশদ্রোহী ধর্মান্ধদের বাংলাদেশে বৌদ্ধদের মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিন ! ধর্মান্ধ মুসলমান হিংস্র জীব-জানোয়ারের চেয়েও ভয়ঙ্কর মানুষরূপী কোন জীব রাঙ্গুনিয়া ফলারিয়া জ্ঞানশরণ বৌদ্ধ বিহারের বুদ্ধমূর্তি ভেঙ্গেছে! বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ভ‚মি ও বিহার বেদখলের বিরুদ্ধে বৌদ্ধ স¤প্রদায় চুপচাপ থাকতে পারে না। ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে বাংলাদেশে বৌদ্ধধর্মকে ধ্বংস করার নাম বৌদ্ধ বিহারে ধর্মান্ধ মুসলমানগনের আক্রমণ! জামাত হিন্দু ও বৌদ্ধদের মুসলমান বানষচ্ছে! ১৯৭২ সালের ৪ই নভেম্বর বাংলাদেশ গণপরিষদ গৃহীত এবং ১৯৭২ সালের ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রথম খন্ডে প্রকাশিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানানুসারে বাংলাদেশ ইসলাম ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র নহে। হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খৃষ্ঠানসহ সর্ব ধর্মের মানুষ একত্রে মানুষের ভাই বোন আত্মীয় স্বজন। কোন মানুষ অন্য মানুষের শত্রæ নয়। গত ২২ জানুয়ারি ২০২১ একদল সচেতন ম্রো ছাত্র স্থানীয় এনজিওকর্মী ও সমাজকর্মীদের সহযোগিতায় কক্সবাজারের ‘ঈদগাহ উপজাতীয় মুসলিম কল্যাণ সংঘ’ নামক এক প্রতিষ্ঠান থেকে এই শিশুদের উদ্ধার করে।
ধর্মান্ধরা কোরাণে পদচিহ্ন দিয়ে রামু বৌদ্ধ বিহার ধ্বংসযজ্ঞ করেছে কেন? আইনের শাসনে বাংলাদেশে মুসলমান রাজনীতির আক্রমণের শিকার বৌদ্ধ ধর্ম বাড়িঘর, কেন? বাংলাদেশে বিচারহীনতা ও ভয়ের সংস্কৃতিতে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিচারের বানী নিরবে নিভৃতে কাঁদে! বিচারহীনতা ও ভয়ের সংস্কৃতির দরুন এই পরিস্থিতি এখন ভয়ঙ্কর ও অসহনীয় হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের মতো একটি অসা¤প্রদায়িক দেশে এ ধরণের সা¤প্রদায়িক হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মুসলমান ফেইসবুকে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতি কোরআন নিয়ে রামু বৌদ্ধ বিহার ধ্বংসযজ্ঞ করেছে কেন?
৭১-এর পরাজিত অকৃতজ্ঞ ধর্মান্ধ শক্তি এমন এক অভিশাপ যা থেকে নিস্তার পাইনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা! ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের পরপরই এক দল বিহারীরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে সাধারণ মানুষের বাড়িঘর আর প্রতিষ্ঠানে আগুন জ্বালিয়েছিলো। ঠিক ৫০ বছর পর উগ্রপন্থী জঙ্গি সংগঠন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটালো! এই উগ্রপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীর দল বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে হাত দিলো! ৩০ লক্ষ শহীদের তাজা রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন করা এই দেশে শীঘ্রই এই জঙ্গিবাদের বিচার হবে, অবশ্যই বিচার হবে ইনশাআল্লাহ্।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একেবারে বিলুপ্ত করার জন্য রাজাকার , জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশের অকৃতজ্ঞ সামরিক প্রশাসকগন রাষ্ঠ্রদ্রোহী ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে সামরিক প্রশাসকগন এবং উগ্র জামায়াতে ইসলামী দলটির এতো ভয়ঙ্কর ষড়য়ন্ত্র ছিল কেন? জামায়াতে ইসলামী দলটির নেতাকর্মী এবং প্রশাসকগন বাংলাদেশের স্বাধীনতার রাষ্ঠ্রদ্রোহী ছিলেন এবং উগ্র জামায়াতে ইসলামী দলটির নেতাকর্মীদের বিচার না হলে তাদের ঔদ্ধত্য বাঙালি জাতিকে নষ্ট করে দেবে!
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!