অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিরপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে পাশবিক বল প্রয়োগের অভিযোগ এনে তাদের নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রভাবশালী সিনেটর। তারা হলেন, সিনেটের ফরেন রিলেশন্স কমিটির সভাপতি সেনেটর বেন কারডিন এবং সেনেটর কোরি বুকার। গতকাল মঙ্গলবার দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা বলেন, এই সব ভয়ঙ্কর কাজ” যে সব নিরাপত্তা বাহিনী করেছে, তাদের মধ্যে একটি আধা-সামরিক বাহিনী ছিল যার প্রাক্তন কিছু শীর্ষ অফিসারের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।’
অনেক দিন ধরে চলা কোটা সংস্কার আন্দোলন সম্প্রতি সহিংস রূপ নিয়েছে। দেশজুড়ে চলা সহিংসতা সরকারি হিসেবে ১৪৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এর চেয়েও বেশি প্রাণহানির কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ একাধিক দেশ ও জোট ।
গতকাল সিনেটররা বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে একটি স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য, এবং একই সাথে বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে ও তাদের অভিযোগের সমাধান করার লক্ষে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য আমরা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
তারা আরও বলেন, ‘সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি– যা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী যোদ্ধাদের পরিবারের জন্য স্থান সংরক্ষণ করে, তা বাতিল এবং অর্থনৈতিক সুযোগের অভাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হাজার হাজার ছাত্র রাস্তায় নেমে আসে। বিক্ষোভকারীদের ন্যায়সম্মত অভিযোগ নিয়ে আলোচনা না করে, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাবসহ বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী পাশবিক বল প্রয়োগ করে শত শত বিক্ষোভকারীকে হত্যা এবং হাজার হাজার আহত এবং গ্রেফতার করে।’
গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তির একটি হল শান্তিপূর্ণভাবে সমবেত হওয়ার এবং প্রতিবাদ করার অধিকার উল্লেখ করে সিনেটররা বলেন, ‘যেসব সাহসী ব্যক্তি তাদের মর্যাদা এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য আন্দোলন করছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে থাকবে। আমরা বাংলাদেশে মানবাধিকারের পক্ষে এবং যারা লঙ্ঘন করে তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য কথা বলে যাব।’