(বাম থেকে) মার্ক স্যান্ডার্স, এনা বাইলাও, অলিভিয়া চো, মেতসি হান্টার, ব্রাড ব্রাডফোর্ড এবং জন ম্যাটলো

অনলাইন ডেস্ক : আগামী ২৬শে জুন, সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টরন্টোর নতুন মেয়র নির্বাচন। গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি টরন্টোর সাবেক মেয়র জন টরি তাঁর পদ থেকে সরে দাঁড়ালে টরন্টোর মেয়রের পদ শূন্য হয়ে যায়। সেই সময় থেকে ডেপুটি মেয়র জেনিফার ম্যাককেলভি মেয়রের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এবারের শূন্য পদের এই উপনির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ১০২ জন প্রার্থী লড়ছেন। এর মধ্যে জনমত জরিপে পরবর্তী মেয়র হিসেবে উচ্চারিত হচ্ছে ছয় জনের নাম। তাঁরা হচ্ছেন, অলিভিয়া চো, এনা বাইলাও, মার্ক সান্ডার্স, মেতসি হান্টার, ব্রাড ব্রাডফোর্ড এবং জন ম্যাটলো।

উল্লেখ্য, এবারের টরন্টোর মেয়র হিসেবে জনমত জরিপে যার নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে, তিনি হচ্ছেন ২০০৬ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টরন্টোর ট্রিনিটি-স্পাইদানার নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নির্বাচিত এমপি অলিভিয়া চো। তিনি ২০১৪ সালে টরন্টোর মেয়র নির্বাচনে ৩য় স্থানে ছিলেন। ২০০৬ সালে এমপি হওয়ার পূর্বে তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত টরন্টোর সিটি কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অলিভিয়া চো হচ্ছেন নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক জনপ্রিয় নেতা প্রয়াত জ্যাক লেটনের স্ত্রী।

এছাড়া যাদের সম্ভাবনা আছে টরন্টোর পরবর্তী মেয়র হওয়ার তাঁরা হচ্ছেন, টরন্টোর সাবেক ডেপুটি মেয়র এনা বাইলাও, টরন্টো পুলিশের সাবেক প্রধান মার্ক স্যান্ডার্স, স্ক্যারবরো- গিল্ডউড এর লিবারেল পার্টি থেকে নির্বাচিত এমপিপি মেতসি হান্টার, বিচেস-ইস্ট ইয়র্ক এর কাউন্সিলর ব্রাড ব্রাডফোর্ড এবং টরন্টো-সেন্ট পলস এর কাউন্সিলর এর জন ম্যাটলো।

টরন্টোর এই সম্ভাব মেয়র প্রার্থীগণ ইতোমধ্যে নিজেদের পরিকল্পনা টরন্টোবাসীর সামনে উপস্থাপন করছেন এবং বিভিন্ন বিতর্ক অনুষ্ঠানে নিজেরা মেয়র হলে কিভাবে টরন্টোবাসীকে সেবা দিবেন, সে সব বিষয়ে আলোকপাত করছেন।

উল্লেখ্য,কানাডার সবচেয়ে ব্যস্ততম শহর এবং সবচেয়ে বড় সিটি টরন্টোর মেয়র খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ। গোটা কানাডার ৪০ মিলিয়ন জনগণের মধ্যে ৩ মিলিয়ন জনগণ বাস করেন টরন্টো সিটিতে। এ বছর টরন্টো সিটির বাৎসরিক বাজেট হচ্ছে ২.৩৮ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার এবং টরন্টো ট্রানজিট কমিশনের বাজেট হচ্ছে ১.৩৪ বিলিয়ন ডলার।

এবারের টরন্টোর মেয়র নির্বাচনে প্রার্থীরা মূলত জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন কিভাবে টরন্টোর জনগণের জন্য সুলভ বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যায় এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ের উর্ধ্ব গতির হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করা যায়। টরন্টোবাসীর প্রত্যাশা, এবারের উপ নির্বাচনে যেই টরন্টোর মেয়র হোক না কেন, তিনি যেন সত্যিকারভাবে টরন্টোর সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান সুন্দর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।