অনলাইন ডেস্ক : প্রযুক্তি গবেষকদের এক তৃতীয়াংশ বিশ্বাস করেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে প্রযুক্তির অতিরিক্ত সুবিধার ঝুঁকি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
২০২৩ সালের এআই ইনডেক্সে এ তথ্য উঠে এসেছে। স্ট্যান্ডফোর্ড ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান সেন্টার আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স এটা প্রকাশ করে। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে হুমকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
“কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন এত উন্নত হয়েছে যে নিজ থেকেই যে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, যে কোনো টপিকের উপর লেখা লিখতে পারে, ছবির কাজ করতে এমনকি কোডিংয়ের কাজও করতে পারে। যা গত কয়েক দশক আগে কল্পনাও করা যেত না।”
তবে প্রযুক্তির এত উন্নতির মধ্যেও নৈতিক চ্যালেঞ্জকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কারণ চ্যাটবটগুলোর মাধ্যমে ভুয়া তথ্য এমনভাবে তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে যে সহজে এগুলো ভুয়া হিসেবে চিহ্নিত করা কঠিন। যেমন আত্মহত্যার ভিডিও কিংবা ইউক্রেন যুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমিরি জেলেনস্কির আত্মসমর্পনের যে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল তা ছিল ভুয়া।
গত মাসে ইলন মাস্ক এবং অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ওজনিয়াক ওপেন এআই চ্যাটবট জিপিটি-৪ এর বাইরে এআই সিস্টেমের প্রশিক্ষণে ছয় মাসের বিরতির জন্য একটি খোলা চিঠিতে ১ হাজার ৩০০ জন স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ছিলেন। এখানে তারা এমন একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে যা হবে ঝুঁকিমুক্ত।
জরিপের ফলাফলে আরও বলা হয়েছে, গবেষকদের ৩৬ শতাংশ মনে করেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিজ থেকে যে সিদ্ধান্ত নেয় তা পারমাণবিক স্তরের বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আর ৭৩ শতাংশ মনে করছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমাজকে ব্যাপকভাবে বদলে দিতে পারে।
এই জরিপে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, সৌদি আরব এবং ভারতের গবেষকরা অংশ নেয়।
সূত্র: আল জাজিরা