অনলাইন ডেস্ক : আদালতের আদেশে যুক্তরাষ্ট্রের কুইন্সে নির্বাচনে ফিরলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত দুই যুবতী। তারা হলেন মেরি জোবাইদা এবং মৌমিতা আহমেদ। স্থানীয় নির্বাচনী সংস্থা বোর্ড অব ইলেকশন প্রথমে তাদেরকে আইনগত এবং পেশাগত নামের পার্থক্যের জন্য নির্বাচনে বাতিল করে দিয়েছিল। কিন্তু সোমবার কুইন্স সুপ্রিম কোর্টের বিচারক তাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। এর ফলে আগামী ২৩ শে জুন প্রাইমারি ব্যালটে তাদের নাম থাকছে। এর মধ্যে এসেম্বলি নির্বাচনে প্রার্থী মেরি জোবাইদা। অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক ডিস্ট্রিক্ট লিডার প্রার্থী মৌমিতা আহমেদ। তাদের প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিচারক লিওনার্দ লিভোটি বলেন, নামের ক্ষেত্রে বা নামের রীতিতে বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে কুইন্স।
কুইন্সের মতো বৈচিত্রময় স্থানে, যেখানে রয়েছে বহু বিদেশী ও অপরিচত নাম, সেখানে একটি বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত।
উল্লেখ্য, রাজ্য এসেম্বলিতে ডিস্ট্রিক্ট ৩৭ এর জন্য ব্যক্তিগত ও পেশাগত নাম মেরি ব্যবহার করে প্রচারণা চালাচ্ছেন জোবাইদা। আইনগতভাবে তার আসল নাম হল মেহেরুন্নিসা। অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক ডিস্টিক্ট লিডার পদের জন্য ব্যক্তিগত ও পেশাগত নাম মৌমিতা ব্যবহার করে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন মৌমিতা আহমেদ। আসলে তার আইনগত নাম আতকিয়া। এসব কারণে দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই মুসলিম নারীকে প্রথম রমজানে ব্যালট থেকে বাদ দেয় বোর্ড অব ইলেকশন। ফলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে বোর্ড। নিউ ইয়র্ক দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বেশি মানুষের বসবাস হলেও কুইন্সে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ান বংশোদ্ভূত কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নেই।
জোবাইদা ও মৌমিতার পক্ষে আইনি লড়াই করেছেন আলী নাজমি। তিনি বলেছেন, বিচারকের সিদ্ধান্তে আমরা সন্তুষ্ট। বিচারক লিভোটি বলেন, বোর্ড অব ইলেকশন নির্বাচনী আইনের সংকীর্ণতা অবলম্বন করেছে, যার অধীনে একজন প্রার্থীকে তার জন্ম সনদ অথবা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের নামের সঙ্গে ডাকনামের পার্থক্য করে। একজন প্রার্থীকে এটা করা থেকে বিরত রাখা হয়েছে এই আইনে।
নির্বাচনে এসেম্বলি সদস্য ক্যাথি নোলানের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জোবাইদা। ক্যাথি নোলান ১৯৮৫ সাল থেকে ওয়েস্টার্ন কুইন্সে এসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট ৩৭ এর পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করছেন। অন্যদিকে মৌমিতা আহমেদ নর্থইস্ট কুইন্স এসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট ২৪-এর কুইন্স ৭২ ডেমোক্রেটিক ডিস্ট্রিক্ট লিডার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।