নাদিরা তাবাসসুম : কদিন যাবত বেশ কিছু গুরত্বপূর্ণ বিষয় রিশিতাকে ভাবনায় ফেলেছে। একটি ওয়ার্কশপে বক্তা এবং আলোচকদের বক্তব্য শোনার পর মনে হয়েছে এতদিন কি বোকামোই না করেছে। ছোট ছোট বিষয় নিয়ে স্বামী ও শ্বাশুড়ি অন্যায়ভাবে কিছু বললে সাথে সাথে ঝগড়া করেছে। ছেলেমেয়েরা আদেশ নির্দেশ না শুনলে রীতিমতো মারধোর পর্যন্ত করেছে। ঘরে বাইরে চাকুরী ক্ষেত্রে সকল জায়গা প্রতিনিয়ত দুধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এক ধরনের পরিস্থিতি যা মোটামুটি মানিয়ে নেয়া যায় এবং আর এক ধরনের পরিস্থিতি যা মানিয়ে নিতে খুব কষ্ট হয়। পরিস্থিতিগুলোর সাথে অবশ্যই মানুষ জড়িত থাকে বলে ভালো সম্পর্ক অথবা খারাপ সম্পর্ক তৈরী হয়ে যায়। এর ফলে সবসময় একটা মনোকষ্ট লেগেই থাকে। যেমন সেদিন ছেলেকে অতিরিক্ত ভিডিও গেম খেলার জন্য শ্বাশুড়ী রিশিতাকেই দোষারোপ করে এবং গালমন্দ করে। এতে রিশিতা রেগে গিয়ে ছেলেকে মারধোর করে। পরে তার বাবা ঘরে এলে তার সাথেও চলে ঝগড়া এবং শেষ পর্যন্ত কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরকম অবস্থা প্রায়ই ঘটে এবং শেষে সব দোষ সবাই রিশিতার উপর চাপিয়ে দেয়। কিছুতেই সহ্য করা যায় না। অনেক সময় বুঝতে পারে যে প্রতিবার সবার সাথে রাগ বা ঝগড়া করা ঠিক হচ্ছে না। এতে ঘরের শান্তি নষ্ট হচ্ছে এবং মানসিক কষ্ট বেড়েই চলেছে। তাই মানসিক সুস্থতার জন্য রিশিতা কমিউনিটি অর্গানাইজেশনের এমন একটি ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করে।
ওয়ার্কশপে যা আলোচনা হয় তাহলো – আমাদের প্রায়ই মন খারাপ থাকে বা মন খারাপ হয়ে যায়, আমরা যখন তখন ছোট বড় বিভিন্ন বিষয়ে কষ্ট পেয়ে থাকি। কারন হতে পারে – আশেপাশের মানুষগুলোর নিকট থেকে কোন অপ্রীতিকর পরিবেশ পরিস্থিতি, অতি কাছের অতি প্রিয় আত্মীয়স্বজন, অনাত্মীয়দের নিকট থেকে খারাপ ব্যবহার, আচরণ, ঝগড়া মারামারি অথবা অযৌক্তিক কোন কথা কাটাকাটি। এসময়ে নিজেকে খুবই অসহায় ও হীনবল মনে হয়। তাছাড়া সমাজে সংসারে হাজারো সমস্যা তো রয়েছেই। চাকুরী নেই, সংসার চালানোর মতো পর্যাপ্ত টাকা পয়সা হাতে নেই, অসুস্থ পিতামাতার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানোর টাকা নেই ইত্যাদি ইত্যাদি। দিনের পর দিন চোখে ঘুম নেই “কি হবে, কি ঘটবে, আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবেনা” ইত্যাদি নানা দুশ্চিন্তা আর টেনশন। এ সকল অবস্থা এবং সমস্যা সবই কিন্তু আপনার শরীর ও চিন্তার বাইরে ঘটছে। যখন আমরা এগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তা আর টেনশন করছি তা ঘটছে আমাদের মনের ভিতরে মাথার মধ্যে ঘটছে। অর্থাৎ কিনা সমস্যাগুলো আমাদের শরীরের বাইরের ঘটনা যেগুলোতে আমাদের নিজের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই কিন্তু দুশ্চিন্তা, টেনশন ও অনুভূতি সেগুলো আমাদের নিজেদের শরীরে ও মনে ঘটছে তাই সেগুলো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। আমাদের শরীরের বাইরে যেসকল সমস্যা বা ঘটনা ঘটছে সেগুলো দেখে আমরা মাথায় চিন্তা করি এবং অনুভূতি জাগ্রত হয় অতঃপর আমরা যেকোন কাজে জড়িয়ে পড়ি। সমস্যা বা ঘটনা যা আমাদের চিন্তায় ফেলে সেগুলো ভালো অথবা মন্দ হতে পারে। ভাল চিন্তাগুলো বলতে যা নিজের বা পরের উপকারে লাগে আর মন্দ চিন্তা বলতে যা নিজের বা পরের ক্ষতি করে। ভালোগুলো হলো ‘পজিটিভ’ আর খারাপগুলো হলো ‘নেগেটিভ’।
আমরা রেগে গেলে, দুশ্চিন্তা টেনশনে যখন ছটপট করি তখন আমাদের ব্যবহার আচরণে ক্রোধের মাত্রা বেড়ে গিয়ে আমাদের হার্ট বিট বেড়ে যায়, প্রেসার বেড়ে যায় উঠানামা করে, অত্যধিক ঠান্ডা বা অত্যধিক গরম অনুভব করতে থাকি। শরীর খারাপ হওয়ার সাথে সাথে আমরা অসুস্থ হয়ে যাই। এসব ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া দ্রæততার সাথে আমাদের শরীরে সংঘটিত হতে থাকে। বার বার একই অবস্থায় নিরন্তর এই ‘অশুভ চক্রে’ ঘুরপাক খেতে থাকি।
বিখ্যাত ডাক্তার, গবেষক ও মনোবিজ্ঞ্যানী ডঃ ক্রিস উইলিয়ামস একে ‘ভিশাস সাইকেল’ বলেছেন। আমরা অতি দ্রæত যদি এই রাগ, দুশ্চিন্তা, টেনশন , ঝগড়া, তর্ক, বিতর্ক ইত্যাদি নেগেটিভ চিন্তা ও অনুভূতিগুলো বুঝতে পেরে তাদেরকে দূরে সরিয়ে দিয়ে উল্টোদিকে শান্ত হয়ে ভালো চিন্তাগুলো না করি তবে আমরা ‘অশুভ চক্রে’ জড়িয়ে যাবো। বিষয়টি একটি উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যেতে পারে। যেমন ধরুন কোন একটা বিষয় নিয়ে আপনি খুউব টেনশন করছেন কারণ আপনি বাজার করতে গিয়ে আপনার টাকা রাখার পার্সটা খুঁজে পাচ্ছেন না। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও যখন পাচ্ছেন না তখন ধরেই নিয়েছেন যে আপনার পার্সটা হয়তো হারিয়ে গেছে যেখানে আপনার টাকা পয়সা, ঘরের চাবি ছাড়াও আরও কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল। এই অবস্থায় আপনার দুশ্চিন্তা টেনশনে প্রেশার দ্রæত বেড়ে যাচ্ছে। এখন কি হবে, কি ব্যবস্থা নিবেন ইত্যাদি চিন্তায় হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তখন কি করা উচিত কি ব্যবস্থা নেয়া উচিত ঠান্ডা মাথায় চিন্তাগুলোকে ফিরিয়ে এনে কিভাবে কোথায় গিয়ে রিপোর্ট করা হলে পার্স ফিরে পাওয়া যাবে সেবিষয়ে ধীর স্থির ভাবে চিন্তা করা এবং উপায় খুঁজে বের করা।
তেমনিভাবে কখনো কোন বন্ধু বা আত্মীয় স্বজনের সাথে তর্ক বিতর্ক, রাগারাগি, ঝগড়াবিবাদ এ জাতীয় কিছু ঘটে থাকলে সংগে সংগে নিজেকে শান্ত করে নিতে হবে। আপনি জানছেন ও বুঝতে পারছেন যে আপনি ঠিক এবং আপনি সত্য কথা বলছেন তথাপি আপনি নিজেই চুপ হয়ে শান্ত হয়ে নিজের চিন্তাগুলোকে ভাল দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে নিজের কাজে মনোনিবেশ করবেন অথবা বাইরে কোথাও গিয়ে হেঁটে আসবেন। কারণ আপনি জানেন যে, যুক্তিতর্ক, রাগারাগি, মারামারি, ঝগড়াবিবাদ ইত্যাদি আপনার মনে খারাপ চিন্তা ও অনুভূতির সৃষ্টি করবে; তারপর সবার সাথে আপনার ব্যবহার আচরণ খারাপ হয়ে যাবে এবং আস্তে আস্তে আপনি শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পরবেন, হার্টবিট প্রেশার বেড়ে গিয়ে হার্ট এটাকের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। আপনারই ক্ষতি হবে ও সমস্যা বাড়বে। এ কারণে যখনই স্বামী-স্ত্রী, ছেলেমেয়ে, মা-বাবা, শ্বশুর শ্বাশুড়ী, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব-এর সাথে এরকম পরিস্থিতি ঘটতে যাবে তখনই আপনি নিজেকে সরিয়ে নেবেন, বাইরে হাঁটতে যাবেন, নিজের রুটিন কাজে ব্যস্ত হয়ে যাবেন অথবা যাকে ভালোবাসেন, যে আপনকে ভালো জানে তার সাথে ফোনালাপে ব্যস্ত হবেন- এভাবে নিজেকে নিজের কাজে ‘বুষ্টার’ করবেন। যত কাজ বেশি করবেন তত খারাপ চিন্তা, অনুভূতি ও কাজগুলো যেগুলো ‘নেগেটিভ এনার্জি’ সৃষ্টি করে সেগুলো থেকে দূরে থাকতে পারবেন। মনে রাখবেন যত কম কাজ ও অলস সময় তত খারাপ চিন্তা ও খারাপ অনুভূতির সৃষ্টি আপনাকে ‘নেগেটিভ এনার্জি’র দিকে ঠেলে দিবে।
তাই পরিকল্পনা করুন, যে কাজগুলো করা হলে আপনি নিজে খুশি হন, অন্যজনেরা খুশি হয় অথবা আপনি ভালোভাবে সমাধা করে কৃতিত্ব দেখাতে পারেন সেই কাজগুলো করুন। রুটিন কাজগুলোর পাশাপাশি নিজের ভালো লাগার কাজগুলো করুন। এগুলো হতে পারে, মজার মজার রান্নাবান্না, ঘর গোছানো, ঘরবাড়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা, গান শোনা, টিভিতে কোন ভালো অনুষ্ঠান দেখা, ব্যায়াম করা, পার্কে গিয়ে হাঁটা হাঁটি করে আসা ইত্যাদি। আপনি যদি আপনার পছন্দনীয় কাজগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তাহলে অস্বাস্থ্যকর ‘নেগেটিভ’ চিন্তাগুলো থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
নানারকম সমস্যা, বিপদআপদ, দুর্ঘটনা আপনার চারপাশে থাকবেই কিন্তু এগুলো দেখলেই আপনাকে বুঝতে হবে যে এগুলো হচ্ছে অশুভ, অস্বাস্থ্যকর ও ক্ষতিকর বিষাক্ত পোকামাকড়ের মতো। এগুলোকে দূরে সরিয়ে দিন, মোটেই গুরুত্ব দেবেন না। শক্ত হয়ে নিজের পায়ের ওপর দাঁড়ান এবং ভাবেন এগুলো আপনার ক্ষতি করতে চায় তাই নিজেকে নিয়ে ভালো চিন্তা করুন, নিজেকে বিশ্বাস করুন একজন ভাল বন্ধুর মতো; অবশেষে সমস্যাগুলোকে ভিন্নভাবে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনুন।
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব হিসাবে বসবাস করে। তাই পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, সমাজ- রাষ্ট্র নিয়ে বসবাস ও ভাবনা চিন্তা করতে হয়। একসাথে বসবাসকালে প্রায়শই কোন না কোন বিষয়ে বা কারনে মতভেদ, তর্ক-বিতর্ক, ঝগড়া বিবাদ, দ্ব›দ্ব, মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। মানুষ যুক্তি তর্ক অথবা শারীরিক শক্তি দেখিয়ে একজন আরেকজনের উপরে বিজয়ী হতে পছন্দ করে। বাইরে থেকে এরকম বিজয়কে বিজয় মনে হলেও আসলে এটা বিজয় নয়- এটা প্র্র্কৃতপক্ষে নিজের রাগ, মেজাজ ও উত্তেজনার কাছে পরাজয়। সকল প্রকার উত্তেজনা, রাগ, দুশ্চিন্তাগুলোকে দমন ও সংযম করতে পারাটাই আসল বীরত্ব। অন্যকে রাগ, মেজাজ, ক্ষমতা ও ভয় দেখিয়ে নয় বরং নিজেকে সংবরন ও সংযম করতে পারাটাই হবে বীরত্ব। একজনের সাথে ঝগড়া-বিবাদ, তর্ক-বিতর্ক ও মারামারিতে জড়ালে আশেপাশের পুরো পরিবেশটাই অশুভ হয়ে যায়। এরূপ পরিস্থিতিতে সামনে সাধারণত দুটো পথ খোলা থাকে; একটা পথ হল- ঝগড়া মারামারি চালিয়ে যাওয়া আর অন্য পথটা হল- তাড়াতাড়ি নিজেকে একেবারে শান্ত- শীতল মানুষে পরিণত করে ফেলা। যদিও অনেকে মনে করে যে, অন্যকে ঝগড়া, তর্ক বা মারামারিতে হারিয়ে অনেক শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান হয়ে গেছে কিন্তু আসলে এতে মানুষ আরও ক্ষমতাহীন হয়ে যায় যা সে বুঝতে পারে না। কারণ এভাবে আবার সেই ‘অশুভ চক্রে’ জড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে যে চুপচাপ শান্ত হয়ে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিল তাকে আপাদদৃষ্টে ক্ষমতাহীন বা বোকা মনে হলেও, সেই প্রকৃত বিজয়ী কারন তখন তার নিজের ভেতরে ভাল অনুভূতির সৃষ্টি হয় এবং এতে মানসিক ও শারিরিক প্রতিক্রিয়া শুভ ও কল্যাণকর হয়। এসময় নিজেকে শান্ত করার পাশাপাশি কিছুক্ষণ দীর্ঘ সময় ধরে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে থাকুন। নিজের দক্ষতা ও বিশ্বাস নিয়ে চিন্তা করুন এবং অশুভ পরিবেশ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখুন। নিজেকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন, অন্যকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন না, নিজের ভেতরে শক্তি সঞ্চয় করুন, নিজের সাথে বোঝাপড়া করুন কিভাবে নিজের রাগ ও উত্তেজনা কমিয়ে ফেলবেন। প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যান এবং অভ্যাস করুন। নিশ্চয়ই আপনি বিজয়ী হবেন। এমন সময় হঠাৎ একজন অংশগ্রহণকারী কান্নাজড়িত কন্ঠে একটি সমস্যার কথা বলে এবং সমাধান চায়। সমস্যাটা হলো – তার বান্ধবী স্বামী ও তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় থাকে। স্বামী স্ত্রী দুজনেই চাকরী করে। এভাবে দুজন মিলে বাসা ভাড়া এবং সংসারের খরচ বহন করে। কিন্তু বেশ কয়েক মাস যাবত তার স্বামী সংসারে কোন টাকা পয়সা দিচ্ছে না। টাকা চাওয়া হলে গাল মন্দ করে এবং মারধোর করে ছেলেমেয়েদের সামনে। পাঁচদিন ধরে বাসায় ফিরছে না এবং বলেছে অন্যত্র বিয়ে করেছে। এ অবস্থায় বান্ধবী অসহায় অবস্থায় শুধু কান্নাকাটি করছে। তাকে এখন কিভাবে সান্তনা দেবে বুঝতে পারছে না। আলোচনায় সবাই মিলে সমবেদনা জানায়। বক্তা বলেন, প্রথমে আপনার বান্ধবীকে বুঝিয়ে শান্ত করুন, তারপর কি কি ব্যবস্থা নেয়া যায় খুঁজে বের করুন। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন আছে যারা এ বিষয়ে সাহায্য করতে পারে, সরকারি সাহায্যের ব্যবস্থা করে দেয়া যেতে পারে অথবা আইনী সহায়তার ব্যবস্থা করে দেওয়া যেতে পারে। এ ধরনের সমস্যা খুবই দুঃখজনক যা অহরহ আমাদের সমাজে ঘটছে। রিশিতা বিষয়টি নিয়ে খুবই মর্মাহত হয়ে পড়ে। পরিবার নিয়েই তো সমাজ কিন্তু পরিবার যদি এভাবে ভেংগে যায় ছেলেমেয়েগুলো কিভাবে সুস্থ মানসিকতা নিয়ে বড় হবে। অথচ ভালোবাসতে শেখার প্রথম স্থান হচ্ছে পরিবার যেখানে শিশুরা তাদের চোখের সামনে ‘Love in action’ দেখতে দেখতে বড় হবে। পরিবার হলো অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান উপহার যা আল্লাহতায়ালা আমাদের দিয়েছেন সকলের সাথে সম্পর্কের মাধ্যমে প্রথম শিক্ষা। ‘পরিবার’ শব্দটি সত্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ-এর অর্থ হলো, নিরাপত্তা অনুভব, আপনজনদের কাছে পাওয়া যাদের সাথে সকল সমস্যা ভাগাভাগি করা; আবার পরস্পরের প্রতি স্রদ্ধা ও দায়িত্ববদ্ধ থাকা। জর্জ সান্তায়ানা বলেছেন “The family is one of natureÕs masterpieces” জন উডেন-এর মতে “The most important thing in the world is family and love”. মাদার তেরেসার ভাষ্য মতে “What can you do to promote world peace? Go home and love your family”.
রিশিতা ওয়ার্কশপ থেকে শিখেছে পরিকল্পনা করে কিভাবে নিজেকে পরিচালনা করা যায়। বাইরের ঘটনা বা সমস্যা যতই কষ্টসাধ্য হোক ধীর স্থির ও ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে হবে এবং সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। অন্যকে পরিবর্তন নয়, নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে।