অখিল সাহা, টরন্টো : বাংলাদেশের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক জগতের প্রবাদ প্রতিম বীর মুক্তিযোদ্ধা, সংগ্রামী রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক যোদ্ধা, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আলোকবর্তিকা কামাল লোহানীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে এক বিবৃতি দিয়েছে প্রগতিশীল গণতান্ব্রিক উদ্যোগ (পিডিআই) কানাডা। পিডিআই-এর পক্ষে যুগ্ম আহŸায়ক আজিজুল মালিক ও বিদ্যুৎ রঞ্জন দে জানিয়েছেন, স্বাধীনতাপূর্ব প্রগতিশীল রাজনৈতিক আন্দোলনের অন্যতম মুখ, অন্যায় ও আপোষের বিরুদ্ধে আজন্ম প্রতিবাদী, বিভিন্ন সময়ে কারাবরণকারী মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক কামাল লোহানীর মৃত্যুতে দেশের রাজনীতি-সাংস্কৃতিক জগতে গভীর শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। তাঁর মৃত্যু জাতির মেধার জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমাদের দায়িত্ব তাঁর অসমাপ্ত আন্দোলন ও জীবন দর্শনকে বাস্তবায়নে এগিয়ে আসা।

জানা যায়, ঢাকায় পান্থপথের হেল্থ এন্ড হোপ হাসপাতালে ফুসফুস ও কিডনিজনিত সমস্যায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই করোনা পজিটিভ ফল পাওয়া যায়। সেখান থেকে শেখ রাসেল গ্যাষ্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসাপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। উল্লেখ্য, এই সংগ্রামী ১৯৫২ সালে পাবনায় থাকাকালে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে পাকিস্তান বিরোধী সকল রাজনৈতিক আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন। পরে তিনি কম্যুনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। এক পর্যায়ে ন্যাপের রাজনীতিতে যোগদান করেন। তিনি ছায়ানট ও ক্রান্তির মত সাংস্কৃতিক সংগঠনে সাংগঠনিক পদে থেকেছেন এবং সাংস্কৃতিক আন্দোলনে যুক্ত থেকেছেন। তিনি রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও স্বাধীন বাংলা বেতারের সংবাদ বিভাগের প্রধানসহ স্বাধীনতা পরবর্তীকালে প্রেস ইনস্টিটিউট-এর দায়িত্বসহ বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক পদেও কাজ করেছেন।

পিডিআই কানাডা মনে করে, তাঁর অসমাপ্ত আন্দোলন ও জীবন দর্শন বাস্তবায়নে দেশের সরকারের পদক্ষেপ গ্রহনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক দেশ ও জাতি গঠনের জন্য তিনি সকল আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন।