অনলাইন ডেস্ক : কানাডার ওষুধ আবিষ্কার–সংক্রান্ত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাবকেলেরার দিকে চোখ এখন সবার। প্রতিষ্ঠানটি করোনাভাইরাস চিকিৎসা এবং অন্যান্য ওষুধ নিয়ে কাজ করা ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাগুলোর জন্য অ্যান্টিবডিগুলোর বিশ্লেষণ ও শনাক্তকরণ কাজ করে দেয়। বুধবার অ্যাবকেলেরা ঘোষণা দিয়েছে, তারা নতুন করে ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলার তহবিল পেয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
অ্যাবকেলেরার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কার্ল হ্যানসন বলেন, করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগী থেকে সংগৃহীত অ্যান্টিবডি ব্যবহার করে করোনাভাইরাসের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এলি লিলি অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে কাজ করছে অ্যাবকেলেরা। তারা মূলত কম্পিউটার ভিশন ও মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে রক্তের নমুণা থেকে দ্রুত তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারে। ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো তখন এসব তথ্য ব্যবহার করে ওষুধ প্রস্তুত করে থাকে।
মানুষের রক্তের নমুণা ক্রেডিট কার্ডের সমান একটি যন্ত্রে ঢোকানো হয়, যাতে আড়াই লাখ চেম্বার থাকে। একটি কম্পিউটার নমুণা কোষ থেকে চেম্বারে লুকিয়ে থাকা অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে, যা নির্দিষ্ট রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সবচেয়ে ভাল বৈশিষ্ট্য দেখায় এবং এটি বিকাশের পক্ষে উপযুক্ত কি না, তা নির্ধারণ করে।
হ্যানসেন বলেন, নতুন করে যে তহবিল সংগ্রহ করা হয়েছে, তা দিয়ে আরও ১০০ জন সফটওয়্যার ও ডেটা বিজ্ঞানী নিয়োগ করা হবে। বর্তমানে কোম্পানিটিতে ১৪০ জন কর্মী রয়েছে। কোম্পানিটি আরেকটি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র খুলবে।
হ্যানসেন বলেন, নতুন বিনিয়োগ ছাড়াও অ্যাবকেলেরা কানাডীয় সরকার থেকে ১২ কোটি ৪০ লাখ ডলার মঞ্জুরি পেয়েছে, যাতে অ্যান্টিবডিভিত্তিক ওষুধ তৈরির স্থাপনা তৈরি করা হবে। ভবিষ্যতের মহামারি সৃষ্টি করতে পারে এমন রোগের বিরুদ্ধে লড়তে এটি কাজে আসবে।
অ্যাবকেলেরা দাবি করেছে, তারা ক্যানসার, ইমিউনো-অনকোলজি, ব্যাথা ও মেটাবলিক ডিজঅর্ডারের মতো রোগের ওষুধ তৈরিতে অ্যান্টিবডি বের করেছে।