অনলাইন ডেস্ক : কানাডিয়ান নাগরিক পুত্রবধূ সারাহ ইনাম হত্যা মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে পাকিস্তানের সুপরিচিত সাংবাদিক আয়াজ আমিরকে। তিনি ও তার সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাওয়ার পর পুলিশ শনিবার এই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে। তারপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শাহজাদ টাউন পুলিশ স্টেশনে। সেখানেই হত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। মামলা করেছেন সারাহ ইনামের আঙ্কেল কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) ইকরাম ও জিয়াউর রহমান। সারাহকে হত্যার জন্য তারা দায়ী করেছেন আয়াজ আমির এবং তার সাবেক স্ত্রীকে। অভিযোগ আছে, পারিবারিক সমস্যাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সারাহ ইনামকে হত্যা করে আয়াজ আমিরের ছেলে শাহনাওয়াজ। তাকে দু’দিনের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।

পুলিশি সূত্রমতে, শাহনাওয়াজ আগেও দুটি বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তিনি তা সারাহ ইনামের কাছে প্রকাশ করেননি।

একই সঙ্গে তিনি সারাহর কাছে মাদক কেনার জন্য অর্থ দাবি করতেন। সম্প্রতি সারাহ একটি গাড়ি কিনেছেন। তা প্রতারণার মাধ্যমে নিজের নামে রেজিস্টার্ড করেছেন শাহনাওয়াজ। এতদিন সারাহর কাছ থেকে যে অর্থ নিয়েছেন শাহনাওয়াজ তা এবং গাড়ি ফেরত চান তিনি। এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি। এর ফলেই সন্দেহভাজনরা সারাহকে হত্যা করেন।
ওদিকে শাহনাওয়াজকে বিয়ের বিষয়ে পিতামাতাকে জানাননি সারাহ ইনাম। তিনি তিন মাস আগে পাকিস্তান আসেন কানাডা থেকে এবং চাকওয়ালে শাহনাওয়াজের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার আগে তাদের পরিচয় হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে এই বিয়ে পাকিস্তানে রেজিস্ট্রার্ড হয়নি।

থানায় করা মামলায় বলা হয়েছে সন্দেহভাজন শাহনাওয়াজের মা সামিনা শাহ শুক্রবার পুলিশ স্টেশনে ফোন দেন। তাদেরকে জানান যে, তার ছেলে শাহনাওয়াজ একটি ডাম্বেল দিয়ে তার পুত্রবধুকে হত্যা করেছে। এরপর তার ছেলে বাড়িতেই অবস্থান করছে। তার স্ত্রীর মৃতদেহ লুকিয়ে ফেলেছে। এর ফলে পুলিশ ওই বাড়ি ঘেরাও দেয়।

মামলায় আরও বলা হয়েছে, ঘটনার পর নিজের রুমে ভিতর থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিলেন শাহনাওয়াজ। তারা দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে রক্তমাখা অবস্থায় দেখতে পায়। তাকে আটক করে পুলিশ। এ সময় সে স্ত্রীকে ডাম্বেল দিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করে। জানায়, কানাডার নাগরিক সারাহ’র মৃতদেহ বাথটাবে লুকিয়ে রেখেছে। যে ডাম্বেল দিয়ে হত্যা করা হয়েছে তা শাহনাওয়াজ তার বিছানার নিচে লুকিয়ে রেখেছিল। পুলিশ তা পরীক্ষা করে রক্ত ও চুলের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছে। পরে তা ফরেনসিক টেস্টে পাঠানো হয়েছে। নিহতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে পলিক্লিনিক হাসপাতালে।