অনলাইন ডেস্ক : ধূমপানের ক্ষতির দিক নেয় সবাইকে সচেতন করতে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডা। সিগারেটের প্যাকেটে নয়, এখন থেকে প্রত্যেক সিগারেটের গায়ে থাকবে সতর্কবার্তা, যেন প্রতিবার ধূমপানের সময় ধূমপায়ীদের সতর্ক করা যায়। আজ বুধবার (২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এই উদ্যোগ নিয়েছে কানাডা। প্রতিটি সিগারেটের গায়ে এসব সতর্কবার্তা লেখা হবে ইংরেজি এবং ফরাসি ভাষায়। এসব সতর্কবার্তার মধ্যে ‘সিগারেট ক্যান্সার সৃষ্টি করে’ , ‘প্রতিটি টানের মধ্যে বিষ’ এবং ‘ধূমপান পুরুষত্বহীনতার কারণ’— এর মতো বাক্যাংশগুলোও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এছাড়া ধূমপান শিশুদের ক্ষতি করে, মানবদেহের অঙ্গের ক্ষতি করে এবং পুরুষত্বহীনতা ও লিউকেমিয়া সম্পর্কে সতর্কতাও উল্লেখ থাকবে সিগারেটের গায়ে।
ধূমপানকে ফুসফুসের ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকির কারণ হিসাবে ব্যাপকভাবে বিবেচনা করা হয়। ২০২১ সালের জাতীয় তামাক এবং নিকোটিন সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ধূমপায়ীদের হার প্রায় ১০ শতাংশ। তামাক ব্যবহারের কারণে প্রতি বছর দেশটিতে ৪৮ হাজার মানুষ মারা যায়।
গতকাল মঙ্গলবার থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হয় দেশটিতে। পরের বছর থেকে কানাডিয়ানরা নতুন সতর্কতা লেবেল-যুক্ত সিগারেট দেখতে শুরু করবেন।
কানাডা সরকার জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের মধ্যে বিক্রিত সমস্ত কিং-সাইজ সিগারেটে এই সতর্কতা লেবেল থাকার বিষয়টি প্রস্তুতকারকদের নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে সমস্ত রেগুলার সাইজের সিগারেট এবং টিপিং পেপার ও টিউবসহ ছোট সিগারে এই সতর্কবার্তা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
কানাডার পাবলিক সার্ভিস মন্ত্রী জ্যঁ-ইভেস ডুকলোস এর আগে বলেছিলেন, ‘তামাক ব্যবহার কানাডার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য জনস্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি এবং এটি কানাডায় রোগ ও অকালমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ যা প্রতিরোধযোগ্য।
ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর ড. রবার্ট শোয়ার্টজ বিবিসি নিউজকে বলেন, এটা ভালো খবর যে, কানাডা ‘এই ধরনের উদ্ভাবনী পদক্ষেপের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে’। তিনি বলেন, ‘সিগারেটের গায়ে থাকা স্বাস্থ্য সতর্কতা সম্ভবত কিছু লোককে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে বাধ্য করবে এবং কিছু যুবককে ধূমপান করা থেকে বিরত রাখতে পারে।’