অনলাইন ডেস্ক : উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডায় হরদীপ সিং নিজ্জরের পরে খালিস্তান আন্দোলনের আরেক নেতা খুন হয়েছেন। তার নাম সুখদুল সিং। তিনি সুখা দুনেক নামেও পরিচিত।
স্থানীয় সময় বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে কানাডার উইনিপেগে দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে সহিংসতা চলাকালে তিনি গুলিতে খুন হন। খবর এনডিটিভির।
দুনেক কানাডায় খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা এনআইএর বুধবার প্রকাশিত তালিকায় তাকে ‘এ ক্যাটাগরির’ সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতের দাবি, ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহার করে পাঞ্জাবের মোগা থেকে ২০১৭ সালে কানাডায় পালিয়ে যান সুখা দুনেক। তিনি ভারতের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী আর্শদীপ দালার ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে দাবি করা হয়েছে।
দুনেক খুন হওয়ার পর ভারতের সঙ্গে কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্কের চরম অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে গত সোমবার কানাডার পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, সরকারের কাছে ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্য’ রয়েছে, গত জুনে কানাডার নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের এজেন্ট জড়িত।
অবশ্য ভারত সরকার খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিংকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী মনে করে।
ট্রুডোর অভিযোগের পর প্রথমে কানাডা ভারতীয় এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। তাদের দাবি, ওই কর্মকর্তা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) কর্মকর্তা। জবাবে ভারতও কানাডার এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে।
ভারত ট্রুডোর অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ ‘অবাস্তব’ ও ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।
নিজ্জর (৪৫) ভারতের পাঞ্জাবের নাগরিক এবং তিনি ভারতে নিষিদ্ধ খালিস্তান টাইগার ফোর্সের (কেটিএফ) প্রধান। গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের সারেতে গুরুদুয়ারার বাইরে খুন হন তিনি। ভারতের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে এবং তাঁকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নাটকীয় উত্তেজনার মধ্যে কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত কানাডিয়ানদের ভিসা পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
এই শিখ আন্দোলন ঘিরে ভারত ও কানাডার মধ্যে অবনতিশীল সম্পর্ক আরও তলানিতে পৌঁছাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।