অনলাইন ডেস্ক : কানাডায় আবার ফিরে এসেছে কোভিড-১৯। ফলে গত দু’সপ্তাহে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। প্রায় শূন্যের কোঠা থেকে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা তিন-চার শত’তে উঠে এসেছে। আজ অন্টারিও প্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬৫ জন এবং একজন মৃত্যু বরণও করেছে।

কানাডা স্টেজ-৩ বা লকডাউনের তৃতীয় ধাপে উঠে এসেছিলো। এখন মাস্কবিহীন চলাফেরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় না রাখা, বারবিকিউ পার্টি, গেটটুগেদার, বার-ক্লাবে ভীড় ইত্যাদি কারণে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ সম্পর্কে টরন্টো পাবলিক হেলথের কর্মকর্তা ড. ভিনিতা দুবে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বিশেষত পারিবারিক বন্ধু, স্বজন একত্রিত হবার মাধ্যমে এখন বেশি সংক্রমণ ঘটছে। কারণ তারা মনে করছেন যেহেতু তারা সবাই সুস্থ, কাজেই ভাইরাস সংক্রমণ ঘটবে না। এছাড়া অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের কারণেও এখন করোনা আক্রান্তের এই বৃদ্ধি বলে তাঁর অভিমত। কানাডা কোভিড-১৯-এর সেকেন্ড ওয়েভ বা দ্বিতীয় আক্রমণের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে কানাডার স্বাস্হ্য কর্মকর্তাদের আশংকা। সামনের ফ্লু-সিজন ও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ একাকার হয়ে পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যেতে পারে বলে তারা মনে করছেন।

যদি এই বৃদ্ধি বাড়তে থাকে তাহলে প্রাদেশিক সরকার মনে করছে আবার স্টেজ-২ বা দ্বিতীয় ধাপে হয়ত ফিরে যেতে হতে পারে। মন্ট্রিয়েল এবং কুইবেক সিটিতে কিউবেকে আবারো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ।

অপর এক খবরে জানা গেছে, কানাডার কুইবেক প্রদেশের রক্ষণশীল দলের বিরোধী দলীয় নেতা ইরিন ও’টলি এবং ব্লক কুইবাকোইস নেতা ইভেস-ফ্রাঙ্কোইস ব্লানচেট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তারা সেলফ-আইসোলেশনে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, এপর্যন্ত কাডানায় এক লাখ ৪৩ হাজার ৬৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৯ হাজার ২১৭ জন। গত ৮ মার্চ করোনায় প্রথম মারা যায় ভ্যাংকোভারে। মৃত্যুর তালিকায় ১৩ জন বাংলাদেশিও রয়েছেন।