মোহাম্মদ সাকিবুর রহমান খান: কানাডার ২০ সেপ্টেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আরও দুই বাংলাদেশি মনোনয়ন পেয়েছেন। এ নিয়ে মোট আটজন নির্বাচন করছেন। এর আগে কানাডার জাতীয় কোনো নির্বাচনে এত বাংলাদেশি কানাডিয়ানকে নির্বাচন করতে দেখা যায়নি। প্রথমে ছয়জন প্রার্থীর নাম পাওয়া গেলেও সবশেষে আরও দুজন প্রার্থীর নাম পাওয়া যায়। নতুন দুজনের মধ্য একজন এনডিপির এবং আরেকজন গ্রিন পার্টির।

২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে কানাডার মধ্যবর্তী ফেডারেল নির্বাচন। এ নির্বাচনে কানাডিয়ানরা তাঁদের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবেন। সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশটিতে মোট ৩৩৮টি আসন রয়েছে।

প্রতিবছরের মতো এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে। দলগুলো হচ্ছে বর্তমান ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি, কনজারভেটিভ পার্টি ও নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি। কানাডাজুড়ে এখন চলছে নির্বাচনের প্রচারণা।

নামির রহমান : নামির রহমান এনডিপি থেকে এবারও নির্বাচন করছেন। এ নিয়ে তিনি তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন করছেন। তিনি ২৫ বছর যাবৎ কানাডায় বসবাস করছেন। কানাডায় পলিটিক্যাল সায়েন্সে তিনি পড়াশোনা করেছেন।

সানী মীর : গ্রিন পার্টি থেকে অশোয়া আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সানী মীর। তিনি মা–বাবার সঙ্গে ইমিগ্রেশন নিয়ে কানাডায় আসেন। কানাডার ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে তিনি পড়াশোনা করেন। এর আগে তিনি এ আসনের একটি এলাকা থেকে কাউন্সিলর নির্বাচন করেছিলেন।

আফরোজা হোসাইন : আফরোজা হোসাইন নির্বাচন করছেন বর্তমান ক্ষমতাসীন দল লিবারেল পার্টি থেকে। তিনি অন্টারিও প্রভিন্সের অসওয়া নির্বাচনী আসন থেকে নির্বাচন করছেন। তিনি ৩২ বছর আগে সপরিবার কানাডায় এসে বসবাস শুরু করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব অন্টারিওর ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে পড়াশোনা করেন। ২০১৯ সালেও ফেডারেল নির্বাচনে অংশ নেন আফরোজা।

মোহসিন ভূঁইয়া : প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি থেকে অন্টারিও প্রভিন্সের স্কারবোরো সাউথওয়েস্ট নির্বাচনী আসনে প্রার্থী হয়েছেন মোহসিন ভূঁইয়া। তিনি বাংলাদেশি–অধ্যুষিত এলাকায় বসবাস করেন। এ এলাকায় প্রচুর বাংলাদেশি ভোটার রয়েছেন। মোহসিন ভূঁইয়া কানাডায় রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসাও করেন।

খালিস আহমেদ : এ নিয়ে তৃতীয়বার কানাডার তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নির্বাচন করছেন খালিস আহমেদ। এবার তিনি অ্যালবার্টা প্রভিন্সের নোস হিল আসনে লড়ছেন। বাংলাদেশের জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ও নরওয়েতে পড়াশোনা করে কানাডায় রাজনীতির পাশাপাশি মাইনিং কোম্পানিতে কাজ করেন। দুই সন্তানের জনক খালিস আহমেদ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশিদের জন্য কানাডার মূলধারার রাজনীতির পথ করে দিয়ে গেলাম, আগামী প্রজন্ম এই পথ দিয়ে হেঁটে অনেক দূর যাবে।’

গুলশান আক্তার : আলবার্টার কনজারভেটিভ পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ক্যালগিরি কনফেডারেশন থেকে নির্বাচন করছেন গুলশান আক্তার। তিনি নির্বাচন করছেন নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে। এর আগে তিনি প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।

ফাইজ কামাল : স্কারবোরো সেন্টার আসনে নির্বাচন করছেন ফাইজ কামাল। তিনিও নির্বাচন করছেন নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে। তাঁর আসনটি অন্টারিও প্রভিন্সে।

সৈয়দ মহসীন : কনজারভেটিভ পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন সৈয়দ মহসীন। তাঁর নির্বাচনী এলাকা মেট্রো ভ্যাঙ্কুভারের সোরি-নিউটন আসন। ঢাকার মিরপুরের সাবেক সাংসদ ও ঢাকা সিটির ডেপুটি মেয়র এস এ খালেকের ছেলে সৈয়দ মহসীন ১৯৯৩ সালের উপনির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।

কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশিরা তাকিয়ে আছেন ২০ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের দিকে। অনেকেই সাফল্য কামনা করছেন এ আট বাংলাদেশির।