বিনোদন ডেস্ক : অভিনেতা অক্ষয় কুমার নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কিন্তু ভারতীয় এ অভিনেতার কানাডার নাগরিকত্ব থাকার কারণে প্রায়শই সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। সম্প্রতি অক্ষয় কুমার নিজের কানাডার নাগরিকত্ব গ্রহণের আসল কারণ জানিয়েছেন। একইসাথে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য তিনি ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন বলে জানান। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
ভারতীয় টিভি শো ‘সিধি বাত অন আজ তাক’ এর নতুন সিজনের প্রথম এপিসোডে এসে নাগরিকত্ব ইস্যুতে সমালোচকদের না জেনে কোন মন্তব্য না করার অনুরোধ জানিয়েছেন অক্ষয়। ৫৫ বছর বয়সী এ বলিউড সুপারস্টার বলেন, “ভারতই আমার কাছে সবকিছু। আমি যা কিছু অর্জন করেছি, সবই এই দেশ থেকে। আমি খুব ভাগ্যবান যে, আমি সেই ঋণ পরিশোধের সুযোগ পেয়েছি। তবে খারাপ লাগে যখন মানুষ না জেনে মন্তব্য করে।”
নিজের ক্যারিয়ারে ‘হেরা ফেরি’, ‘নামাস্তে লন্ডন’, ‘টয়লেট’, ‘প্যাডম্যান’ সহ বক্স অফিসে অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন অক্ষয়। কিন্তু ১৯৯০ এর দশকে অক্ষয়ের ক্যারিয়ার মোটেও সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল না। নিজের টানা ১৫ টি সিনেমা বক্স অফিসে হতাশাজনক পারফরম্যান্স করলে তখন তিনি ব্যবসার সন্ধানে কানাডা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
কানাডার নাগরিকত্ব ইস্যুতে অক্ষয় বলেন, আমার সিনেমাগুলো তখন ভালো করছিল না। আমাকে তখন কিছু একটা করতে হত। তাই আমি ব্যবসা করার জন্য কানাডা গিয়েছিলাম। দেশটিতে থাকা আমার বন্ধুরা আমাকে সাহস দিয়েছিলেন। আমি এরপর কানাডায় গেলাম, পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলাম এবং পেয়েও গেলাম।’
তবে কানাডা চলে গেলেও অক্ষয়ের তখন আরও দুটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় ছিল। পরবর্তীতে কানাডা থাকাকালীন অক্ষয়ের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় এবং দুটি সিনেমাই বক্স অফিসে সুপারহিট হয়। তখন দেশে ফিরে আবার সিনেমায় কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
বলিউডে নিজেকে পুনরায় ফিরিয়ে আনার গল্প বলতে গিয়ে অক্ষয় বলেন, ‘দেশে ফিরে আমি বহু সিনেমায় কাজের প্রস্তাব পেতে থাকি। আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে, আমার কানাডিয়ান পাসপোর্ট রয়েছে। আমি কখনো ভাবিনি, আমাকে এই পাসপোর্ট পরিবর্তন করতে হবে। তবে এখন আমি পাসপোর্ট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ইতিমধ্যেই ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছি।’
২০১৯ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে সাক্ষাতের পর অক্ষয় কুমারের নাগরিকত্বের ইস্যু নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়। ‘কফি উইথ করণ সিজন ৭’ এর মঞ্চেও কানাডার নাগিরকত্বের বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছিলেন জনপ্রিয় এ অভিনেতা।
অক্ষয় বলেন, ‘বেশিরভাগ সময় আমার কানাডার পাসপোর্ট নিয়ে কথা বলা হয়। যদিও তাতে আমি পাত্তা দিই না।’
জবাবে পাল্টা করণ জোহার বলেন, ‘তোমাকে কানাডা কুমার বলে ডাকা হয়! উত্তরে অক্ষয় বলেন, ‘হ্যাঁ কানাডা কুমার। আচ্ছা, তাই বলেই না হয় ডাকুক।’