হাসান আমিন : কানাডার জনসংখ্যা চার কোটি ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান সংস্থার ‘জনসংখ্যা ঘড়ি’ সঠিক সময়ে কানাডার জনসংখ্যা অনুমান করতে মডেলিং ব্যবহার করে। গত ১৬ জুন, শুক্রবার গণনাটি বিকাল ৩টার ঠিক আগে ৪০ মিলিয়নে (৪ কোটি) পৌঁছেছে।

প্রধান পরিসংখ্যানবিদ অনিল অরোরা এক মিডিয়া বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এটি কানাডার জন্য একটি অনন্য মাইলফলক।’ ‘এটি একটি শক্তিশালী সংকেত যে কানাডা একটি গতিশীল এবং স্বাগত দেশ, সম্ভাবনায় পূর্ণ,’ বলেন অরোরা।
কানাডার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বর্তমানে ২.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এটি ১৯৫৭ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ বার্ষিক বৃদ্ধির হার বলে জানিয়েছে পরিসংখ্যান কানাডা।

২০২৫ সালের মধ্যে প্রতি বছর পাঁচ লাখ অভিবাসীকে স্বাগত জানানোর ব্যাপারে অটোয়ার প্রতিশ্রুতি এবং তার ফলে নতুন অভিবাসীর ঢেউ এই মাইলস্টোন অর্জনে সহায়তা করেছে।

স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা বলছে, জনসংখ্যা চার কোটির ঘরে পৌঁছাতে সময় লেগেছে প্রত্যাশার চেয়ে কম। ২০২২ সালেই দেশে ১১ লাখ নতুন নাগরিক যুক্ত হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই স্থায়ী ও অস্থায়ী অভিবাসী। গত বছর ফেডারেল সরকার নতুন ৪ লাখ ৩০ হাজার অভিবাসীকে স্বাগত জানানোর যে পরিকল্পনা করেছিল সংখ্যাটি তার দ্বিগুনেরও বেশি।

গত বছরই প্রথমবারের মতো কানাডায় ১২ মাসে জনসংখ্যা ১০ লাখের বেশি বেড়েছে। এই বৃদ্ধির ৯৫ দশমিক ৯ শতাংশই আন্তর্জাতিক অভিবাসীদের মাধ্যমে হয়েছে বলে জানিয়েছে স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা।
কানাডার জনসংখ্যা তিন কোটির মাইলফলক অতিক্রম করে ১৯৯৭ সালে। সেটাও সম্ভব হয়েছিল অভিবাসীদের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে।
এর বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা ৩৩ কোটি ৫০ লাখ।

স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা বলছে, অভিবাসনের বর্তমান এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দুই দশকের মধ্যেই কানাডার জনসংখ্যা পাঁচ কোটির ঘরে পৌঁছে যাবে। ২০৪১ সাল নাগাদ প্রতি পাঁচজন কানাডিয়ানের মধ্যে দুইজনই হবে দেশের বাইরে জন্ম নেওয়া।

কানাডার প্রদেশগুলোর মধ্যে জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি অন্টারিওতে ১ কোটি ৫৬ লাখ। ৮৮ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কুইবেক। সূত্র : সিবিসি নিউজ