অনলাইন ডেস্ক : হঠাৎ আট শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করেছে কানাডার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা ওয়েস্টজেট।
মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে দ্বন্দ্বে ছয় শতাধিক কর্মী ধর্মঘটে যাওয়ার পর এয়ারলাইনটি তাদের এসব ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়।
এতে করে সপ্তাহান্তে বড় ছুটি কাটাতে ইচ্ছুক হাজার হাজার লোকের ভ্রমণের পরিকল্পনাও অনেকটা ব্যর্থ হয়ে গেছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বেতন এবং শ্রমিকদের কাজের অবস্থার বিষয়ে ক্যালগারিভিত্তিক এই এয়ারলাইন এবং এয়ারপ্লেন মেকানিক্স ফ্রাটারনাল অ্যাসোসিয়েশন (এএমএফএ) চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ার পরে প্রায় ৬৮০ জন শ্রমিক গত শুক্রবার থেকে ধর্মঘট পালন করছেন।
ওয়েস্টজেট এয়ারলাইনের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডিডেরিক পেন রবিবার ‘অপ্রয়োজনীয় কর্মবিরতির’ জন্য ভ্রমণকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “আমাদের কর্মীদের প্রতিকূলতার ঊর্ধ্বে উঠে এগিয়ে যাওয়ার এবং নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার কাজে আমি উৎসাহিত হয়েছি।”
তিনি আরও বলেছেন, “আমরা আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখেছি যে, বর্তমান ধর্মঘট আমাদের এয়ারলাইন এবং দেশের সর্বাধিক ক্ষতি করা ছাড়া অন্য কোনও উদ্দেশ্য পূরণ করবে না।”
জানা গেছে, ওয়েসজেট গত বৃহস্পতিবার থেকে এখন পর্যন্ত ৮৩২টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। বাতিল হওয়া বিপুল সংখ্যক এই ফ্লাইটের অর্ধেকেরও বেশি ছিল রবিবারের জন্য নির্ধারিত।
এয়ারলাইনটি বলেছে, তাদের বহরে ১৮০টি বিমান থাকলেও রবিবার পর্যন্ত সেগুলোর মধ্যে মাত্র ৩২টি বিমান সক্রিয় তথা পরিষেবায় নিযুক্ত ছিল।
অবশ্য ওয়েস্টজেট এবং এএমএফএ একে-অপরকে সরল বিশ্বাস নিয়ে আলোচনা না করার জন্য অভিযুক্ত করেছে।
ওয়েস্টজেট বলেছে, চুক্তির প্রথম বছরে তারা ১২.৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে এবং বাকি সাড়ে পাঁচ বছরের মেয়াদে ২৩.৫ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে।
এদিকে এয়ারলাইনটির কর্মীদের এই কর্মবিরতিতে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষের ভ্রমণ পরিকল্পনা ব্যাহত হয়েছে। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গত বৃহস্পতিবার কানাডার শ্রমমন্ত্রী সিমাস ও’রেগানের নির্দেশনা সত্ত্বেও এই কর্মবিরতি এখনও চলছে। সূত্র: আল-জাজিরা