অনলাইন ডেস্ক : কানাডায় গত বছর সর্বপ্রথম বৃটিশ কলম্বিয়ায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে সারা কানাডায় করোনাভাইরাস বেড়ে গত একবছরে এখন ৯ লাখ ৩ হাজার ২ শত ৩৩ জন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ২২ হাজার ৪০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর সাথে যোগ হয়েছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট।
করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এটা সহজেই সংক্রমণে সক্ষম এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে গুরুতর অসুস্থতার দিকে ঠেলে দিতে পারে, যা বেশ ইদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটিতে।
বরফাচ্ছন্ন কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশে প্রতি বছরই বছরের এই সময়টায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান আর পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকত। কিন্তু গত এক বছরে তা আর পরিলক্ষিত হচ্ছে না। কোভিড-১৯ সারা বিশ্বের সাথে কানাডাকেও যেন থমকে দিয়েছে।
কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা আবার বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় কানাডা ডে (কানাডার জাতীয় দিবস) উপলক্ষে সিটি পরিচালিত ও অনুমোদিত সব ধরনের আউটডোর অনুষ্ঠান বাতিল করেছে টরন্টো। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন টরন্টো মেয়র জন টরি। নগরীতে রিপ্রোডাক্টিভ নম্বর বেড়ে ১ দশমিক ১ এ উন্নীত হওয়ার তথ্য দিয়েছেন টরন্টো জনস্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. এইলিন দ্য ভিলা। যদিও গত সপ্তাহে এটা ছিল দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। ডা. এইলিন দ্য ভিলা রিপ্রোডাক্টিভ নম্বর হঠাৎ বেড়ে যাওয়াকে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করার পরই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি কর্তৃপক্ষ।
দেশটির সরকারের বেঁধে দেওয়া বিধিনিষেধ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সত্ত্বেও নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট দেশটির সরকার ও জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। বর্তমানে দেশটিতে জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন বিধিনিষেধ বলবৎ রয়েছে। ইতোমধ্যে গত বছর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার সীমান্ত বন্ধ রয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লাখ ৩ হাজার ২৩৩ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ২২ হাজার ৪৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৫০ হাজার ৪৮ জন।