অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস ছড়ানোর শুরু যেই শহর থেকে, চীনের সেই উহান শহর বিভীষিকা কাটিয়ে আবার খুলতে শুরু করেছে। শনিবার আংশিকভাবে শহরটির লকডাউন তুলে নেওয়া কথা জানিয়েছে দেশটির সরকার। এতে করে বন্দি অবস্থা থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে ১ কোটিরও বেশি মানুষ।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই শহরটি লকডাউন করে ফেলা হয়। বসানো হয় রোডব্লক। বলা হচ্ছে, শহরটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে যাওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত। লোকজনকে শহরের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হলেও কাউকে বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
শহরের ১৭টি ট্রেন স্টেশন এবং পাতাল রেলসহ অল্প কিছু যানবাহন চলাচলও শুরু হয়েছে। লোকজনকে শহরে আসতে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনও কেউ বের হতে পারছেন না। শহরের রেল স্টেশনে পৌঁছে লোকেরা জানুয়ারি মাসের পর আত্মীয় স্বজনের সাথে এই প্রথম দেখা করতে পারায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
সরকারি হিসেবে দেখা যাচ্ছে, চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য ও নাটকীয় হারে কমে গেছে। শুক্রবার সারা দেশে মাত্র ৫৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এদের সবাই চীনের বাইরে থেকে এই ভাইরাসটি নিয়ে এসেছেন বলে বলা হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাময়িকভাবে বিদেশি যাত্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটি। প্রতি সপ্তাহে কেবল একটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট দেশে প্রবেশ করতে পারবে বলে জানিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। তবে, কোনোভাবেই ওই ফ্লাইটে ৭৫ শতাংশের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না বলে জানান তারা।