অনলাইন ডেস্ক : যে দেশগুলোতে অর্থনীতি করোনা ভাইরাস দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, সে দেশগুলোতে প্রযুক্তি খাতসহ অন্য খাতগুলোতে চাকরির বাজারে বেশ ক্ষতি হয়েছে। সেখানে অ্যামাজনের মতো প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করছে।
বর্তমানে লক্ষ লক্ষ মানুষ অনলাইন শপিংয়ের উপর নির্ভরশীল হতে শুরু করেছে। করোনা মাহামারীরর সময়ে অ্যামজনের বেশ সমৃদ্ধি হয়েছে। এই পরিস্থিতি তাদের কার্যক্রমকে দ্রুত প্রসারিত করছে। চলতি সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা করেছে যে, তারা যুক্তরাজ্যে আরও ৭ হাজার লোকবল নিয়োগ দেবে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ সম্পর্কিত দুইটি বিজ্ঞাপন বিতর্কীত হয়েছে। দেশটিতে গোয়েন্দা সংস্থার বিশ্লেষকরা কয়েকটি এলাকাতে পর্যবেক্ষণ চালিয়েছে। তাদের পর্যবেক্ষণের বিষয় ছিল- প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে শ্রম সংগঠনের জন্য হুমকি এবং অত্যান্ত গোপনীয় কিছু বিষয় নিয়ে।
অ্যামাজন দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে বৈরী ছিল, তারা কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পছন্দ করে। তবে গোপনীয়তা নজরদারী অভিযান শুরু হওয়ার পর কয়েকটি বিজ্ঞাপন বাদ দিয়েছিল এবং তারা বলেছে যে, বিজ্ঞাপনে ভুল শব্দ ব্যবহার করা হয়েছিল। শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংস্থা টেক টেন্টকে বলেন, তারা বিজ্ঞাপনগুলো খুব ভীতিকর অবস্থায় পেয়েছে। এটি এক ধরনের সাহসীকতা এবং তারা তাদের হাত প্রদর্শন করতে ভয় পান না। এ বিষয়টির উপর তারা একটি বৃহত্তম সংখ্যায় জড়িপ চালিয়েছেন এবং বলেছেন, এটি বেশ ভয়ঙ্কর।
মহামারী চলাকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যামাজনের কর্মী বেড়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার জন। বিষয়টি কি আসলেই ভালো? এছাড়াও অ্যামাজনের পণ্য সরবরাহ, ড্রাইভিং কাজেসহ অন্যান্য কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আরও ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ জড়িত রয়েছে তবে তারা সরাসরি কর্মী হিসেবে নিযুক্ত নয়।
করোনা মহামারীর পর অর্থনীতির দৃশ্য কেমন হবে? এ বিষয়ে সারা ও’কনর মনে করছে যে, নিয়োগকর্তারা এখন বুঝতে পেরেছেন তাদের কর্মীরা বাড়ি থেকে ঠিকঠাক কাজ করতে পারছেন। এটি অনেক লোকদের সাশ্রয়ী শ্রমের সুযোগ করে দিতে পারে। যা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি দারুন সুযোগও বটে। একটি বিষয় প্রমাণীত হতে পারে আর তা হলো- যদি আপনার অফিসে শারীরিকভাবে আপনাকে প্রয়োজন না হয়, তবে দেশে শারীরিকভাবে আপনাকে তাদের প্রয়োজন হবে না। হতে পারেন আপনি সারাবিশ্বের জন্য একজন সম্ভাব্য কর্মী এবং যেকোনো জায়গা থেকে আপনি নিয়োগ পেতে পারেন।
এমন অবস্থায় আপনি মূলধন ও শ্রমের মধ্যে সমতা আনতে পারেন। বর্তমান দশক ব্যবসায়ের দিকে ধাবমান হচ্ছে। বর্তমানে মহামারী প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থানকে প্রভাবিত করছে। এ পরিস্থিতিতে শ্রমিক তাদের কর্ম সংস্থান সংক্রান্ত শর্ত ও মজুরি নিয়ে শক্ত অবস্থানে পৌঁছতে পারবে।
সূত্র : বিবিসি