অনলাইন ডেস্ক : করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর অন্তত ছয় মাসের জন্য যে কোনো রোগের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধব্যবস্থা কার্যকর থাকে; তাতে অ্যান্টিবডি তৈরি হোক বা না হোক। সুইডেনের শীর্ষ মহামারি বিশেষজ্ঞ অ্যান্ড্রু টেনজেল এ দাবি করেছেন।
গত বুধবার (২২ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। তবে ছয় মাস পর্যন্ত সুরক্ষা পাওয়ার যে তত্ত্ব তিনি দিয়েছেন তার সপক্ষে কোনো জোরালো তথ্যপ্রমাণ তিনি দিতে পারেননি। তিনি আরো দাবি করেন, করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরে দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্তের কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি।
সুইডেনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরও লকডাউন প্রয়োগ করা হয়নি। মূলত অ্যান্ড্রু টেনজেলের নেতৃত্বেই সুইডেনে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে নীতিমালা গ্রহণ করছে সরকার। অ্যান্ড্রু টেনজেল বলেন, করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার পর যদি তার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি না-ও হয়, তবু তার রোগ প্রতিরোধকারী ‘টি সেল’ ভাইরাসটিকে চিনে রেখে তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। তার মতে, টি সেল হচ্ছে সেই কোষ যেটি রোগ প্রতিরোধকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। টি সেলের যেসব কোষকে ভাইরাসটি আক্রমণ করে এবং ধ্বংস করে দেয় তা দীর্ঘ সময় ধরে সুরক্ষা নিশ্চিত করে থাকে। এটি দীর্ঘ সময় ধরে সুরক্ষা দেবে বলে বিজ্ঞানীরা দাবি করলেও তা কত দিন সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রমাণ দিতে পারেননি।
দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়া এবং সুস্থ হয়ে ওঠার পর মানুষকে আক্রান্ত করার শঙ্কা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সেই শঙ্কা নেই বললেই চলে। ফলে আপনি সুস্থ হয়ে ওঠার পর অন্যদের সঙ্গে মিশতে পারেন। আমরা এখন পর্যন্ত কারো ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ পাইননি। আমাদের হিসাব মতে, আপনি যদি একবার করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন তাতে যদি অ্যান্টিবডি তৈরি না-ও হয়; ছয় মাসের জন্য আপনি সুরক্ষিত।’ যদিও অ্যান্ড্রু টেনজেলের এই তত্ত্বের সঙ্গে বিশ্বের অনেক দেশের চিকিত্সাবিজ্ঞানীরা দ্বিমত পোষণ করেছেন। তাদের দাবি, করোনা থেকে সেরে ওঠার পর শরীরে যে প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয় তা খুবই সাময়িক, এর ওপর অতটা নির্ভর করা উচিত হবে না।—ডেইলি মেইল