অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কোমায় ছিলেন উইসনসিনের কেলসি টাউনসেন্ড। কোমায় থাকা অবস্থায়ই তিনি জন্ম দেন এক সন্তানের। গত সপ্তাহে জন্মের তিন মাস পর প্রথম লুসি নামের শিশুকন্যাকে দেখতে পেলেন কেলসি। দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে তিনি ম্যাডিসন হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। নিজের শিশু সন্তানকে হাতে নিয়েই কেলসি বলে ওঠেন ‘অসাধারণ’। সম্প্রতি এনবিসি নিউজ তার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এনবিসিকে তিনি বলেন, আমি এই মুহূর্তের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করে ছিলাম।
গত বছরের অক্টোবরের শেষদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন কেলসি। সেসময় তিনি ছিলেন ৯ মাসের গর্ভবতী।
তার কাশি ও নিউমোনিয়া দেখা গিয়েছিল। তার স্বামী ডেরেক টাউনসেন্ড জানান, এরপরই তাকে বাসা থেকে কাছের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই কোমায় ছিলেন কেলসি। কোমায় থাকা অবস্থায়ই লুসিকে জন্ম দেন তিনি। লুসির জন্মের পর তার করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। ফলাফল নেগেটিভ আসে। এরপর তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
তবে পরে কেলসির শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করলে তাকে ম্যাডিসনের হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কয়েক মাস ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ডেরেক জানান, হাসপাতালের চিকিৎসকরা অনেকবার আমাকে জানিয়েছেন যে কেলসিকে হয়তো আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। ডিসেম্বরের দিকে চিকিৎসকরা বলেন, কেলসিকে বাঁচাতে হলে তার ফুসফুস ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে। এর কয়েক দিন পরে বড়দিনের দিন ডেরেক কেলসিকে ট্রান্সপ্লান্টের কথা জানান। এরপরই অনেকটা বিস্ময়করভাবে কেলসির ফুসফুসের উন্নতি হতে থাকে। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তাকে আইসিইউ থেকে বাইরে আনা হয়। এরপরে আর তাকে ট্রান্সপ্লান্ট করতে হয়নি। কীভাবে তার ফুসফুস আবারো সুস্থ হয়ে উঠলো তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক ড্যানিয়েল পি. ম্যাককার্থি।
এরপর গত ২৭শে জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান কেলসি। তবে তাকে এখনো অক্সিজেন নিতে হয়। ডেরেক বলেন, কেলসির এই বেঁচে থাকার আকাঙ্খা তাদের পুরো পরিবারকে শক্তি যোগাচ্ছে।