যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি : করোনায় মৃত্যু শোকে কাতর আমেরিকায় একেবারেই হতাশার মধ্যে ইংরেজী নতুন বছর ২০২১ কে বরণ করা হলো। বিশ্ববিখ্যাত নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে এবার বলের পতন ঘটিয়ে নতুন বছরকে বরণ করা হলেও ছিল না কোন লোক-সমাগম এবং প্রাণের সাথে প্রাণ মিলিয়ে হৃদয়ের উষ্ণতায় লাখ লাখ মানুষের কন্ঠে ‘হ্যাপী নিউ ইয়ার’র ধ্বনি।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০২০ সালকে বরণের অনুষ্ঠানেও ১২ লাখের বেশী মানুষ জড়ো হয়েছিলেন টাইমস স্কোয়ারে। সেস্থলে এবার মাত্র ৩০০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয় সম্মুখযোদ্ধা এবং তাদের ঘনিষ্ঠদেরকে। সবকিছু টিভিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপভোগ করতে হয়। টেলিফোন, টেক্সট, হুয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং প্রিয়জনেরা ভিডিও কনফারেন্সে পরস্পরের সান্নিধ্যে আসার চেষ্টা করেন। করোনার সংক্রমণের ভীতির কারণে বন্ধু-বান্ধবেরা দল-বেধে পারিবারিক আমেজে বর্ষবরণের আড্ডাতেও মেতে উঠতে চাননি।
উল্লেখ্য, বছরের শেষ দিনও ৩৮০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগেরদিন এ সংখ্যা ছিল আরো বেশী। এদিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২২৯৩৪৯। গত এক সপ্তাহ ধরেই আক্রান্তের সংখ্যা চরমে উঠেছে। দৈনিক গড়ে ১৮৩২৮৭ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং হাসপাতালে ভর্তির গড় সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সোয়া লাখের মত। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার। আক্রান্তের মোট সংখ্যা এক কোটি ৯৯ লাখের বেশী অর্থাৎ দুই কোটি ছুঁই ছুঁই করছে। টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হলেও আতংক কমেনি।
শিশু-কিশোরেরা করোনায় তেমন একটা আক্রান্ত হচ্ছে না বলে কোন কোন মহল প্রচারণা চালালেও বাস্তবে তা সত্য নয়। নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে শিশু-কিশোরের আক্রান্ত হবার সংখ্যা বেড়েছে ১০ লাখ। ‘আমেরিকান একাডেমিক অব পেডিয়েট্রিস’ এবং ‘চিল্ড্রেন হাসপাতাল এসোসিয়েশন’ এ তথ্য জানায়। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে শিশু-কিশোরের আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৯০০০। এ যাবত মোট ২০ লাখ ৬৮১ শিশু-কিশোর করোনায় গুরুতরভাবে আক্রান্ত হয়েছিল বলেও সংস্থা দুটি উল্লেখ করেছে। অর্থাৎ মোট আক্রান্তের ১২.৪% হচ্ছে শিশু-কিশোর। স্বাস্থ্য বিভাগের ড্যাটা থেকে উদঘাটিত তথ্য অনুযায়ী প্রতি লাখ শিশু-কিশোরের ২৬৫৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়। ডিসেম্বরের ১০ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত আক্রান্তের হার বেড়ে ২২% হয়েছে।