বনানী বাবলি: অন্বেষা : হ্যালো…. সুপ্রভাত! কেমন আছো? স্যরি … অনেকদিন তোমাকে কল দিতে পারিনি …
সবুজ: শুভরাত্রি… আছি এখনো বেঁচে
অন্বেষা: কী হলো? এতো ডিপ্রেসিভ কথা কেনো?
সবুজ: গত পরশু দিন বরফে পা পিছলে গিয়ে ডান পায়ে ফ্র্যাকচার হয়েছে … ওটা black ice ছিলো
অন্বেষা : ফ্র্যাকচার? বলো কী? তবুও ভালো তোমার হৃদয়ে ফ্র্যাকচার হয়নি….
সবুজ : মানুষের কষ্ট আর তোমার হাসিঠাট্টা?
অন্বেষা : স্যরি … তুমি বলছো আর আমি কল্পনায় দেখতে পেলাম যে তোমার পিছলে যাওয়া… তাই হাসি পেলো … যাক …কী করে হলো বলো তো?
সবুজ : অফিস থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠার জন্য পার্কিং লটে হেঁটে যেতে গিয়েই ভাগ্যিস এক কলিগ দেখতে পেয়ে এম্বুলেন্স কল দিয়ে হসপিটালে পাঠিয়েছে … আর ভালো লাগে না এই জীবন … একটার পর একটা …
অন্বেষা : তোমরা উন্নত দেশে থাকো তাই তোমাদের এই সুযোগ সুবিধাগুলি আছে …
সবুজ : হ্যাঁ… কল দেওয়ার সাধারণত তিন মিনিটের মধ্যেই প্যারামেডিক এম্বুলেন্স চলে আসে।
অন্বেষা: তোমরা কত ভালো আছো … আর আমরা? ট্রাফিক জ্যামে এম্বুলেন্স আটকে থাকে রোগী নিয়ে ১ কত মুমূর্ষ রোগী হাসপাতালে যাওয়ার আগেই চলে যায় পৃথিবী ছেড়ে ১ শুনেছি উন্নত দেশগুলিতে রাস্তার গাড়ি থেমে যায় এক পাশে এবং তখন তারা এম্বুলেন্সকে জায়গা করে দেয় আগে যাওয়ার জন্য
সবুজ: হ্যাঁ…ঠিক শুনেছো…
অন্বেষা: আচ্ছা তোমার এই যে অমিক্রনে এটাক করলো সেই জন্য ডাক্তারের ফি, ঔষুধের খরচ কি তোমার বহন করতে হয়েছে?
সবুজ: না …ডাক্তারের ফি এখানকার হেলথ কার্ড কভার করে ১ তাছাড়া ডাবল ভেকসিন নেয়া থাকলে বা না থাকলেও এখানে কোনো ….ঔষুধ দেয় না কোভিডে ১ যদি কারো শ্বাস কষ্ট শুরু হয়ে যায় বা প্রচন্ড জ্বর থাকে তাহলে অন্য কথা ১ তখন হয় সাময়িক পাফার, জ্বর কমানোর জন্য ঔষুধ অথবা হসপিটালে এডমিশন নিতে হয়? শুধু এটা নয় অনেক জটিল রোগও হেলথ কেয়ার কভার করে ও আর হেলথ কার্ড কভার না হলে ইন্সুরেন্সের মাধ্যমেও medicine কভার করা যায় ১ আমাদের আছে উনিভার্সেল হেলথ কেয়ার যেটার জনক হলো Tommy Douglas (Thomas Clement Douglas)…ওনার গল্প শুনবে?
অন্বেষা : নিশ্চই … বলো…
সবুজ : না কী হুট্ করে যাই বলে চলে যাবে?
অন্বেষা : আজ কি তুমি ঝগড়ার মুডে আছো? বললাম তো শুনবো ..
সবুজ : না মানে মেয়েদের মন পড়ার মতো কঠিন বিষয়তো আর কিছুই নেই … যাই হোক শোনো … তাঁর জন্ম হয় স্কটল্যান্ডে ১৯০৪ সালে এবং ১৯১০ সালে ইমিগ্রেটেড হন কানাডায়? এখানে আসার কিছুদিন পরেই এই বালক বয়সে পা ভেঙে যায় এবং পায়ে নানা রকম সমস্যা দেখা যায়? হাসপাতালে বিভিন্ন ডাক্তার দেখানোর পরে সিদ্ধান্ত হয় যে পা কেটে ফেলতে হবে ১ এক নামকরা অর্থোপেডিক সার্জেন এই কেসটা দেখে বলেন যে তিনি বিনা পয়সায় পা ঠিক করে দিতে পারবেন কিন্তু তার বিনিময়ে তাঁর ছাত্র ছাত্রীদের এই অপারেশন দেখার অনুমতি দিতে হবে ১ তারপর তাঁর আওতায় কয়েকটা অপেরেশনের পর এই পা সত্যি ভালো হয়ে যায় এবং পা আর কাটতে হয় না।
অন্বেষা : ইন্টারেষ্টিং … তারপর?
সবুজ : বালক বয়সের সেই ঘটনা তাঁর মনে বিরাট প্রভাব ফেলে এবং পরে তিনি এক সাক্ষাত্কারে বলেন, “I felt that no boy should have depend either for his leg or his life upon the ability of his parents to raise enough money to bring a first-class surgeon to his bedside.” সেই থেকে তিনি সবার জন্য বিনা পয়সায় চিকিৎসার কথাটা ভাবতে থাকেন?
অন্বেষা : তারপর?
সবুজ: তারপর তিনি জনকল্যানের জন্য রাজনীতিতে নিজেকে যুক্ত করেন এবং পরবর্তীতে অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে “সবার জন্য বিনা ফিতে চিকিত্সা” আইন পাশ করে নেন সংসদে ১ তিনি Saskatchewan প্রভিন্সের প্রিমিয়ার ছিলেন ১৯৪৪ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত এবং NDP (বর্তমানে তৃতীয় বিরোধী রাজনৈতিক দল) দলের লিডার ছিলেন ১৯৬১-১৯৭১ পর্যন্ত? তাঁকে অনেক অনারারি ডিগ্রী দেয়া হয় এবং ২০০৪ সালে CBC টেলিভিশন প্রোগ্রাম তাঁকে “The Greatest Canadian” নামে অভিহিত করা হয় (সারা কানাডা জুড়ে কানাডিয়ানদের দেয়া সার্ভে অনুসারে)।
অন্বেষা: এইজন্যই সবই তো দেখি ফ্রি…
সবুজ : ফ্রি? আমাদের ইনকামের প্রতিটা ডলারের জন্য সরকারকে টেক্স দিতে হয়? এখানে টেক্স নিয়ে লুকোচুরি করার কোনো পথ নাই ও আর যদি কেউ করে থাকে, তাকে ধরতে পারলে ইনকাম টেক্স অফিস সুদে আসলে সব বের করে নেয়? সুতরাং বুঝে নিও কোথায় আছি।
অন্বেষা : কত সিস্টেমেটিক দেশ … জনগণের টেক্স আবার জনগণের কাছেই ফিরে যায় জনকল্যানে …
সবুজ: অমিক্রনে অসুস্থ হওয়ার পর থেকে আমার ডাক্তার, পাবলিক হেলথ আর আমার অফিস থেকে ফোন আসতো constantly… আমি ঠিকভাবে recover করছি কী না সেটা জানার জন্য ওটা ভালো হলাম আর এখন শুয়ে আছি বিছানায়?
…
কতদিন যে লাগবে এই পা ঠিক হতে who knows… আর ভালো লাগছে না… টেনশানে ঘুমাতে পারি না –
অন্বেষা: একবার ভাবো … যারা এই করোনার কারণে চাকুরী বা ব্যবসা হারিয়েছে …. যারা তোমার চেয়ে আরো খারাপ অবস্থানে আছে যারা প্রতিদিন এক বেলা আহারের জন্য দিনান্তে পরিশ্রম করে। ভাবো তাদের কথা … যে বস্তির শিশুরা জীবন ধারণে বস্তাতে কাগজ কুঁড়াতে গিয়ে স্বপ্ন দেখে একদিন স্কুলে পড়বে, ভাবো তাদের কথা… যাদের শরীরে জটিল রোগের বাসা বেঁধেছে কিন্তু অর্থকষ্টে ঠিক মতো চিকিত্সা করতে পারছে না। ভাবো তার কথা … যে একাকিত্বে জীবননাশের কথা ভাবছে, ভাবো তার কথা … যে বিষাদগ্রস্ততার গোলকধাঁধায় ঘুরছে … অন্যের দুঃখকে বুঝতে শিখো তাহলে দেখো নিজের কষ্টের কথা ভুলেই যাবে …
সবুজ : তাতো জানি … আমাদের দেশের মানুষ কত দুঃখী সমাজে দুইটা শ্রেণী … তেল খাওয়া বড়োলোক আর তেলহীন গরীবলোক এই দুই শ্রেণীর পেষণে মধ্যবিত্তের অবস্থা এক্কেবারে নৈব্য নৈব্য চ…
অন্বেষা : এই দেশে মধ্যবিত্তের জীবন ধারণ এক রকম প্রতিদিনের সংগ্রাম… সেখানে গরিব বেঁচে আছে কোন রহস্যে তা অজানা … এরা দিন দিন বাড়ছে … এদের দেখার কেউ নেই … এরা ভাসমান … অথবা থাকে বস্তিতে, রেলস্টেশনে
সবুজ: আহা, এই দেখো তোমার সাথে কথা বলতে বলতেই সেই দিন খবরে দেখতে পেয়েছি কল্যাণপুরের বেলতলা মাঠ সংলগ্ন বস্তিতে আগুন …
অন্বেষা : কী করা বলো অভাগা যেই দিকে যায় সাগর শুকায় …
সবুজ : জন্ম থেকে যাদের পোড়াকপাল তাদের কপালই পোড়ে বেশি … আর উন্নত দেশে সরকার এদের জন্য বাসস্থান, কাজ নিয়ে নানা রকম প্রজেক্ট তৈরী করে কিন্তু তবুও তারা সেই তৈরী ঘরে থাকতে অপারগ … মাইনাস ফিফটিন টরন্টো শহরে সমাজসেবীরা রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে শেল্টারে পৌঁছে দিয়ে আসে শীতে যাতে কষ্ট না হয় বা মারা না যায় ঠান্ডাতে কিন্তু কয়দিন পরে আবার রাস্তাতে চলে আসে থাকতে।
অন্বেষা : কারণ কী বলতো …
সবুজ : ব্যক্তি স্বাধীনতা …. কোনো নিয়মের বাঁধনে থাকতে চায় না ও তবে এদের কেউ যদি গিটার বাজিয়ে মেট্রো রেল স্টেশনে গান করতে চায় তবে তাকে সিটি লাইসেন্স নিতে হয় নর্থ আমেরিকাতে ও আর সুইডেনে ভিক্ষা করতে হলে লাইসেন্স দরকার হয়…
অন্বেষা : আচ্ছা? তাই বুঝি?
সবুজ : হ্যাঁ … সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম এর একটি শহর হলো Eskilstuna, যে শহরে প্রথম লাইসেন্স প্রথা চালু করে ভিক্ষুকদের জন্য … এই নিয়মের ফলে ধীরে ধীরে ভিক্ষা প্রথা কমে যায় এখানে ক্সক্স
অন্বেষা : বেশ তো সুন্দর নিয়ম …
…
সবুজ : কিন্তু আমাদের দেশের বস্তিগুলি যে কয়দিন পর পর উঠিয়ে দেয়া হয় কিংবা আগুন লাগে এর তো কোনো প্রতিকার নেই।
অন্বেষা : প্রতিকার? কয়টা সমস্যার প্রতিকার হবে? আমাদের যে লক্ষ কোটি সমস্যা।
সবুজ : জনসংখ্যাকে যদি জনসম্পদ করা যায় সুষ্ঠ কর্মসংস্হানের মাধ্যমে তাহলে কী মানুষগুলি বেঁচে যায় না?
অন্বেষা : এখানে ভালো কাজের কোনো মূল্য নেই ১ কেউ যদি এদের জন্য এগিয়ে আসে তবে সেখানে একটা কিন্তু সৃষ্টি হয় … তুমিতো দেশের সীমানা পেরিয়ে গিয়ে বেঁচে গেলে আর আমরা যারা আছি তারা না পারি অন্যায় অবিচার সহ্য করতে না পারি প্রতিবাদ করতে।
সবুজ : তোমরা তো ভাবো আমরা সোনার চামচ মুখে দিয়েই দিন শুরু করি এই বিদেশে কিন্তু এখানে মানুষের জীবন যে কত যান্ত্রিক তা যদি বুঝতে পারতে. … সবাই ব্যস্ত …মাঝে মাঝে মনে হয় এই পৃথিবীতে এতো লোকজন কিন্তু তবুও কত নিঃসঙ্গ আমি বা আমরা ….
অন্বেষা : হঠাৎ করে কেনো একাকিত্ব অনুভব করছো সেটার কারণ খুঁজে বের করো…“ভালো লাগছে না” এই কথাটা আর বলো না? মনে রেখো দিন শেষে আমরা সবাই একা …
সবুজ: জানি না কেনো এমন লাগছে …
অন্বেষা: তাছাড়া আর একটা নীতি পালন করা উচিত এবং সেটা হলো অন্যের থেকে কোন কিছু আশা করা থেকে বিরত থাকা মানুষের আশা যতো কম ব্যথাও ততো কম …
সবুজ: হুমম…
অন্বেষা : দেখো … কে কী ভাবে তার জীবনের দিনপঞ্জিকে organize করবে সেটা নির্ভর করে সম্পূর্ণ তার উপরে নিজের ভালো লাগা নিজেকেই খুঁজে নিতে হয় তুমি বই পড়তে ভালোবাসো … তাই পড়ো… অথবা বন্ধুদের সাথে কথা বলো রোগ, ব্যাধি, আঘাত, কষ্ট তো হবেই মানুষের This is a part of life, my friend.
সবুজ : পড়তে ভালো লাগে না … গান শুনতে ভালো লাগে না ম্যুভি দেখতেও আর ভালো লাগছে না … তুমি বুঝতে পারছো না Aby …. I am severely depressed.
অন্বেষা : প্রয়োজনে অনলাইন কাউন্সেলিং এর সেশনগুলি এটেন্ড করো ভুলে যেও না জীবন একটাই … এই জীবনের ভালো থাকার স্বরলিপি তোমার নিজেকেই তৈরী করতে হবে … কয়দিন পরেই তোমার পা সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যাবে এবং শুনতে পাবো তুমি জগিং করছো তখন তোমার এই রকম নিঃসঙ্গ মনে হবে না দেখে নিও …
সবুজ : হুমম
অন্বেষা: কী হুমম? … চুপ কেনো? প্রতিটা মানুষেরই সমস্যা আছে, দুঃখ আছে, বেদনা আছে … এক একজনের এক এক রকম… এমন কী খোঁজ নিয়ে দেখো বিল গেইটসও এগুলির বাইরে নয়… তাছাড়া সারা বিশ্বব্যাপী মানুষ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনে এখনো আসতে পারে নাই এই মহামারীর জন্য এতে মানুষের ডিপ্রেশন বেড়ে গেছে এগুলি মেনে নিতে হবে তো …
সবুজ : আচ্ছা আচ্ছা… তুমি চান্স পেলে এতো বকর বকর করতে পারো … শেষের কবিতার মতো বলতে হয়… “মেনে নেওয়া আর মনে নেওয়া তো এক নয়”…
অন্বেষা : আরে? ‘বকর বকর’ এই ধনাত্মক শব্দগুলি তোমার মনে আছে?
সবুজ : এখনো তো মনে আছে দেখছি নির্ঘাত ভুলেই যাবো
…
তবে তোমার উপরে প্র্যাক্টিস না করলে
অন্বেষা : আচ্ছা আবার ফিরে যাই আগের কথায় … একাকিত্ব অনুভবের ভুতকে তো তোমার মাথা থেকে তাড়াতে হবে ….
সবুজ : উফ, উফ … কানটা ঝালাপালা হয়ে গেলো …
অন্বেষা : তোমার কান ঝালাপালা করতেই যে আমার যতো আনন্দ …
সবুজ : একটা কবিতা লিখলাম শোনো ….
When I Know
I am in love
when I know I will fly
to a silver blue sky.
I am in love
when I know my
clock is ticking, I can’t lie.
I am in love
I look back with a smile
to my dearest friends by waving hi.
I am in love
so I laugh, so I sing, so I cry
and tipped over to the sky.
I am in love
when I know I’ve to say to
this beautiful earth goodbye.
নিবেদন করিলাম মোর কবিতারে যাঁরা ভালোবাসে এই ধরণীরে ক্ষুদ্র জীবনে কত আশা মোহ, ভালোবাসা
রয়ে যায় দেনা অলক্ষ্যে
আশে পাশে, দূরে বহুদূরে বন জঙ্গলে, সমুদ্র গভীরে কিংবা কর্ণফুলী নদী তীরে
অন্বেষা : কর্ণফুলী নদী তীরেই তোমার সাথে আমার প্রথম দেখা-
সবুজ: হুমম …
অন্বেষা : তুমি ও তোমার ছোট খালা এবং আমরা ভাইবোনরা সবাই একই লঞ্চে গ্রামে যাচ্ছিলাম। কেউ কাউকে জানি না, চিনি না।
সবুজ : তারপর তোমাদের গ্রামে তোমার কাকার মৃতদেহকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা।
অন্বেষা : যখন গ্রামের মানুষের সহযোগিতার অভাব তখন তুমি ভিন্ন ধর্মের, ভিন্ন গোত্রের হয়েও এগিয়ে আসলে বীরের মতো।
সবুজ : আর তুমি তীরের গতিতে আমার হৃদয়কে ঝড়ের মাঝে ফেলে দিলে।
অন্বেষা : কেউ তোমাকে ঝড়ের মাঝে বাতাসের উল্টো হাওয়ায় ভাসতে বলেনি তো?
সবুজ : না … তা বলতে হবে কেনো? যার যেখানে কপাল। কপালের লিখন খন্ডাবে কে বলো? আমি তুমি নিমিত্ত মাত্র …
অন্বেষা : হুমম … কিন্তু এতো দুঃখের কবিতা কেনো? আচ্ছা আগামীকাল আবার কথা হবে …. ভালো থেকো।
বনানী বাবলি : টরন্টো, অন্টারিও