বিনোদন ডেস্ক : বিয়ে বিতর্ক ও অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে শিলমোহর পড়বার পরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সমানতালে সক্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। তবে সাংসদ এতদিন যেন বিরতিতে ছিলেন! এমনতি টুইটারে ভীষণ আক্রমণাত্মক তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিতে এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটই পছন্দ তার। কিন্তু গত দু-সপ্তাহ ধরে এক্কেবারে চুপচাপ তারকা সাংসদ। অন্যদিকে যশ দাশগুপ্তসহ বিজেপির উপর দুই নেত্রী শ্রাবন্তী ও তনুশ্রীর সঙ্গে নুসরতের ঘনিষ্ঠতাও নজর এড়াচ্ছে না কারোর। অন্যদিকে মিমির সঙ্গে নুসরাতের সম্পর্কে চিড় ধরার গুঞ্জনও ডানা মেলেছে টলিগঞ্জে। এতো সব জল্পনার মাঝেই বৃহস্পতিবার রাতে টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের সমর্থনে টুইট লেখেন নুসরাত। ৬ই জুনের পর এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক টুইট দেখা গেল নুসরাতের টুইটারের দেওয়ালে।
নুসরাত সেই টুইট লেখেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের অধিকার ও সমৃদ্ধির মামলায় এক অনন্য চ্যাম্পিয়ান। নুসরাত জানান, যেমনটা তৃণমূল তার নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতে জানিয়েছিল সেইমতো কৃষক বন্ধু প্রকল্পের বার্ষিক ভাতার পরিমাণ দ্বিগুণ করা হচ্ছে। এবার থেকে এই প্রকল্পের আওতায় বছরে ১০,০০০ টাকা করে অনুদান পাবেন কৃষক ভাইয়েরা। নুসরাতের এই টুইটের কমেন্ট বক্সে উপচে পড়ছে নেতিবাচক মন্তব্য। একজন লেখেন, সংদসের এর কাজ শুধু কপি পেস্ট টুইট নয়। নিজের পদের গরিমার প্রতি সম্মান করুন, লাখ লাখ মানুষ যে ভোট দিয়ে আপনাকে জিতিয়েছে, সেই কাজের জন্য নিজের বিবেকর কাছে স্পষ্ট থাকুন। অনেকেই তারকা সাংসদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আক্রমণ করেন। একজন লেখেন, এটাও কি আপনার বিয়ের মতো মিথ্যা নয় তো? অন্য একজন জানতে চান- আপনার ভাবী সন্তানের বাবা কে? গত সপ্তাহেই নিখিল জৈনের সঙ্গে নিজের বিয়েকে ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করেন নুসরাত। এরপরই সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায় নায়িকার বেবি বাম্পের ছবি। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার একটা বড় অংশের তীব্র রোষের মুখে বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ।