অনলাইন ডেস্ক : গণতন্ত্রের এক অপূর্ব চর্চা নির্বাচনের আগে মুখোমুখি লড়বেন দুই প্রার্থী। টেলিভিশনের লাখ লাখ দর্শকের সামনে আঙুল তুলবেন পরস্পরের ত্রুটিতে, খণ্ডন করবেন যুক্তি। এতে অংশ নেয়ার আইনগত বাধ্যবাধকতা না থাকলে রীতি মেনে ৬ দশকের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল প্রার্থীরা অংশ নেন টেলিভিশন বিতর্কে।

প্রথম বিতর্কে বাজে পার্ফম্যান্স করেন জো বাইডেন। এর জেরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট। ডেমোক্রেটদের নতুন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস প্রথমবারের টেলিভিশন বিতর্কে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের।

অনেকেই মুখিয়ে আছেন কমলা-ট্রাম্প বিতর্কের দিকে। বিশেষ করে কমলা কেমন করেন সেদিকে। ধারণা করা হচ্ছে ট্রাম্প তার স্বভাবসুলভ বাকচাতুর্য এই বিতর্কেও অব্যাহত রাখবেন। কমলাকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবেন না তিনি।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র সময় রাত ৯টায় ফিলাডেলফিয়ার কন্সটিটিউশন সেন্টারে শুরু হবে এই বাকবিতণ্ডা। এ বিতর্ক সরাসরি সম্প্রচার করবে আয়োজক প্রতিষ্ঠান এবিসি নিউজ। এরই মধ্যে বিতর্কের কিছু নিয়ম বেঁধে দেয়া হয়েছে। দুইটি বিরতিসহ ৯০ মিনিট চলবে বিতর্ক। একজন প্রার্থীর বক্তব্যের সময় বন্ধ থাকবে অন্যজনের মাইক্রোফোন। প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দিতে দুই মিনিট সময় পাবেন ট্রাম্প-হ্যারিস। যুক্তি খণ্ডনে দেয়া হবে আরও দুই মিনিট। বিতর্কটি সঞ্চালনা করবেন এবিসি কর্মকর্তা ডেভিড মুইর ও লিনসে ডেভিস। বিতর্ক চলাকালীন বাইরের কেউ প্রার্থীদের সাথে কথা বলতে পারবেন না, এমনকি বিরতি চলাকালেও না। কোন প্রার্থীই সাথে রাখতে পারবেন না কোনরকম চিরকুট।

নিউইয়র্ক টাইমসের সিয়েনা কলেজ পোল বলছে, প্রায় সমানে-সমান লড়াই হতে যাচ্ছে ট্রাম্প ও হ্যারিসের মধ্যে। সংস্থাটি জরিপের তথ্যমতে বিতর্কে ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা ৪৮ শতাংশ, আর ৪৭ শতাংশ পূর্বাভাসে তার কাঁধে নিশ্বাস ফেলছে কমলা।