অনলাইন ডেস্ক : বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পবিত্র হজ। ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়াল-মুলক’- তালবিয়ায় মুখর ভাগ্যবান ১ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে পালিত হচ্ছে পবিত্র হজ।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর আরাফাতে মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেওয়া হবে। এ বছর আরবি খুতবাসহ আরও ১০ ভাষায় খুতবা দেওয়া হবে। এর মধ্যে হজের ইতিহাসে প্রথম বাংলায় ও হজের খুতবা অনুবাদ করা হবে।

এবার হজে বাংলাদেশির মধ্যে মাত্র পাঁচজন অংশ নিতে পেরেছেন। হজের অনুষ্ঠানিকতায় যোগ দেওয়ার আগে তাদের দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা ও ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিনেও থাকতে হবে তাদের।

বিধি অনুযায়ী, হজ পালনকারীরা কাবা শরীফে ও কালো পাথরে চুমু খেতে বা স্পর্শ করতে পারবেন না এবং শয়তানের উদ্দেশে পাথর ছুঁড়ে মারার জন্য আগে থেকে জীবাণুমুক্ত প্যাকেটজাত পাথর ব্যবহার করতে হবে। হজ পালনকারী ও হজে দায়িত্বপালনকারীদের অবশ্যই সুরক্ষা মাস্ক পরতে হবে এবং তা ব্যবহার শেষে সুনির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। হজ পালনকারীরা যেখানেই সমবেত হোন না কেন দুজনের মধ্যে অন্তত দেড় মিটার দূরত্ব রাখতে হবে।

এবার হজের খুতবা দেবেন ৯২ বছরের প্রবীণ শায়খ ড. আব্দুল্লাহ ইবনে সুলাইমান আল-মানিয়া। হজের খুতবা দেওয়া ইমাম ও খতিবদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বেশি বয়স্ক ব্যক্তি। আজ হজের দিন মসজিদে নামিরায় মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শায়খ ইমাদ বিন আলি ইসমাইল। তিনি মসজিদের হারামের নিয়মিত মুয়াজ্জিন।

এদিকে, গত বুধবার মিনাতে উপস্থিতির মাধ্যমে এবারের হজ পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান, মসজিদে নামিরা থেকে প্রদত্ত হজের খুতবা শ্রবণ ও যোহর-আসর আদায় রয়েছে আজকের কর্মসূচির অংশ। মসজিদের নামিরার বাইরে তাঁবুতে অবস্থানকারীরা স্ব স্ব তাঁবুতে নামাজ আদায় করবেন। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই রওনা করবেন মুজদালিফার উদ্দেশে।