অনলাইন ডেস্ক : এবার ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিল কানাডা। গতকাল বুধবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গতকাল হেলথ কানাডা আনুষ্ঠানিকভাবে এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এই অনুমোদনের ফলে দেশটিতে গণহারে টিকাটি প্রয়োগের পথ সুগম হলো।
হেলথ কানাডা এক বিবৃতিতে বলেছে, টিকাটি নিরাপদ, কার্যকর ও ভালো মানের বলে প্রমাণ পাওয়ায় তা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত সোমবার জানান, চলতি ডিসেম্বর মাস শেষ হওয়ার আগেই তাঁর দেশের নাগরিকেরা ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ পেতে শুরু করবেন।
কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, যাদের বয়স ১৬ বছরের ওপরে, তাদের টিকাটি দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হবে। আর শিশুদের ওপর এই টিকার ব্যবহার নিয়ে গবেষণা চলবে।
কানাডা সরকার ইতিমধ্যে এই টিকার দুই কোটি ডোজের ক্রয়াদেশ দিয়ে রেখেছে। প্রয়োজনে তারা আরও টিকা কিনবে।
কানাডার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য ২ ডিসেম্বর মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজারের টিকা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। ফাইজারের এই টিকা উদ্ভাবনে সহযোগিতা করেছে জার্মানির প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক।
ফাইজারের টিকাটি অনুমোদনের পর ৮ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যজুড়ে গণহারে প্রয়োগ শুরু হয়। প্রথম দফায় আট লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন ৮০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি, কেয়ার হোমের কর্মী এবং সম্মুখসমরে থাকা স্বাস্থ্য ও সামাজিক কর্মীরা। চলতি মাসের মধ্যেই ৪০ লাখ মানুষকে করোনার টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ব্রিটিশ সরকারের।
যুক্তরাজ্যের পর বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার জরুরি অনুমোদন দিয়েছে বাহরাইন। ৪ ডিসেম্বর দেশটির পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিতে আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) বৈঠক করার কথা।
ফাইজার-বায়োএনটেকের দাবি, তাদের উদ্ভাবিত করোনার টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর।