অনলাইন ডেস্ক : এখনও রূপ বদল করছে করোনার ডেল্টা প্রজাতি। ফলে আরও আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়ে আসছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। শনিবার এমনই সতর্কবার্তা দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রেইয়েসুস।
ইতিমধ্যেই বিশ্বের ১০০টি দেশে করোনার ডেল্টা প্রজাতি ছড়িয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই গোটা বিশ্বে এই প্রজাতি ভয়ানক তাণ্ডব চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে হু। করোনার এই প্রজাতিকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন হু প্রধান। ফলে সামনে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘কোনও দেশ এখনও পুরোপুরি বিপদমুক্ত নয়। ডেল্টা প্রজাতি খুবই মারাত্মক এবং এটা ক্রমেই নিজের রূপ এবং চরিত্র বদলে চলেছে। সুতরাং এর গতিপ্রকৃতির দিকে আমাদের সকলকে কড়া নজর রাখতে হবে।’
হু প্রধান আরও জানান, এখনও বহু দেশে টিকাকরণের সংখ্যা অনেকটাই কম হচ্ছে। আর সেই দেশগুলোতেই ডেল্টার সংক্রমণ দ্রুত ছাড়াচ্ছে। তাই এ ক্ষেত্রে তাঁর পরামর্শ, কোনও ভাবেই কোভিড বিধি লঙ্ঘন করা যাবে না। মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো বিষয়গুলো চালিয়ে যেতে হবে।
বিশ্বের সমস্ত রাষ্ট্রপ্রধানকে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, তাঁদের নিজ নিজ দেশের ৭০ শতাংশ নাগরিককে আগামী বছরের মধ্যে টিকা দেওয়ার কাজ সেরে ফেলতে হবে। আর এটাই অতিমারির গতিকে শ্লথ করার একমাত্র উপায় বলেই জানিয়েছেন হু প্রধান। এ বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিটি দেশের ১০ শতাংশ নাগরিকের যাতে টিকাকরণ সম্পন্ন হয়, সে দিকেও নজর রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপ্রধানদের।
টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন হু প্রধান। তাঁদের কাজে কতটা অগ্রগতি হচ্ছে সে বিষয়ে তথ্য জানালে বিশ্ব জুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচির গতি আরও বাড়ানো যাবে।
করোনার ডেল্টা প্রজাতি প্রথম ধরা পড়ে ভারতে। দেশে কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের নেপথ্যে এই প্রজাতি। ডেল্টা সংক্রমণের কারণে দেশ জুড়ে হাহাকার তৈরি হয়েছিল। সংক্রমণ লাফিয়ে বেড়েছে। পাল্লা দিয়েছে বেড়েছিল মৃত্যুও। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।