অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত আরো কিছুদিন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। নতুন এই ঘোষণায় আগামী ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত দুই দেশের সীমান্ত বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। শুক্রবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ ঘোষণা দিয়েছেন। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট ও সিটিভি নিউজের
জাস্টিন ট্রুডো বলেন, দুই দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, আমাদের সামনে এ ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প খোলা নেই। করোনা পরিস্থিতি এখনো ঠিক হয়নি। বরং এটি আরো ভয়ংকর রূপে দেখা দিচ্ছে। তিনি বলেন, এসব কারণে সীমান্ত বন্ধ রাখার মেয়াদ আরো বাড়ানো হলো। আমরা আশা করছি এর মধ্যে পরিস্থিতি সামান্যতম হলেও উন্নতি ঘটবে। এর আগে গত মার্চে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমিয়ে আনতে প্রাথমিকভাবে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর থেকে প্রায় বেশ কয়েকবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা নবায়ন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত শুধু পণ্যদ্রব্য বাণিজ্য এবং প্রয়োজনীয় ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কানাডায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৮৪১। এর মধ্যে মারা গেছে ১৩ হাজার ২৫১ জন। তবে দেশটিতে আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই এর মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ধারে-কাছেও নেই। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৬২ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৪। এর মধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ ২ হাজার ৭৬২ জন। ইতিমধ্যেই দেশটিতে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৯৫ লাখ ৭ হাজার ৪৭৬ জন। দেশটিতে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭৬। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ২৭ হাজার ৩২৪ জন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্তও একই সময় পর্যন্তই বন্ধ থাকছে বলে এক টুইটবার্তায় মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা সীমান্তে কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে। ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ বন্ধ রাখা হয়েছে।