অনলাইন ডেস্ক : একের পর এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক। স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাস প্রদেশে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮ এবং এর উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ২৪.১ কিলোমিটার গভীরে।

তবে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৪ এবং উৎপত্তিস্থল ছিল পাজারচিক জেলায়। এটি ঘটে ৭ কিলোমিটার গভীরে।
তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর নেই জানিয়ে আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিয়ারবাকির ও গাজিয়ানটেপসহ অন্যান্য দক্ষিণ-পূর্ব প্রদেশ এবং লেবানন ও সিরিয়াসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতেও এই ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।

এদিকে, ওই ভূমিকম্পের তুরস্কের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী ‘আফটারশক’ অনুভূত হয়েছে। প্রধান ভূমিকম্প আঘাত হানার প্রায় ১১ মিনিট পরে,৬.৭ মাত্রার শক্তিশালী আফটারশকটি মূল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের প্রায় ৩২ উত্তর-পশ্চিমে আঘাত হানে। মূল ভূমিকম্পের ১৯ মিনিট পরে ৫.৬ মাত্রার আরেকটি তীব্র ‘আফটারশক’ হয়।

গাজিয়ানটেপ শহরে বসবাসকারী সাংবাদিক এয়াদ কুর্দি দাবি করেছেন, ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এক মিনিটের মধ্যে আটটি ‘খুব শক্তিশালী’ আফটারশক হয়েছে, যার ফলে তার বাড়ির জিনিসপত্র মাটিতে পড়ে গেছে। ভূমিকম্পের পর তার অনেক প্রতিবেশী তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন।

আবহাওয়াবিদদের মতে, শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরে আফটারশকগুলো কয়েক ঘণ্টা এবং এমনকি কয়েক দিনও অব্যাহত থাকতে পারে।তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও ভূমিকম্পের কারণে অনেকে ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে জানা গেছে। এতে অনেক প্রাণহানিরও আশঙ্কাও করা হচ্ছে। সূত্র: সিএনএন, আনাদোলু এজেন্সি