বিদ্যুৎ সরকার: নয়ন তারার রেলে চরা সেই বাল্যকাল থেকেই। দূরে কোথাও যেতে হলে এই রেলই তাদের একমাত্র ভরসা। যদিও ইদানিং বাস পরিষেবা এ এলাকায় চালু হয়েছে তবুও রেলের মাধ্যমে লোকের যাতায়াত খুব একটা যে কমেছে তা নয়। নয়ন তারার রেল স্টেশন হিলি। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত রেখায় বিরাজ করছে আদি কাল থেকেই। ধরতে গেলে ভারতের লাগোয়া ছোট্ট একটি স্টেশন। রেললাইন ক্রশ করে তবেই না বাংলাদেশের মূল ভ‚খণ্ডে ঢুকতে হয়। অবশ্য বেশিরভাগ রেলযাত্রী ওপারের, মুষ্টিমেয় কিছু সংখ্যক এপার বাংলার। কিন্তু দুপারের লোকদের মধ্যে একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সব সময় বিরাজমান। পূজা-পার্বণে ওপারের বন্ধুদের আমন্ত্রণে অনেকেই বেড়াতে যায়। তেমনি ঈদের সময় ওরাও আসে তাদের বন্ধুদের বাসায়। ওপারের জমজমাট বাজার, সবসময়ই জনকোলাহলে প্রাণবন্ত থাকে গভীর রাত অব্দি। রেডিওতে বাজে বিভিদ ভারতী চ্যানেল থেকে প্রচারিত হিন্দি – বাংলা গানের আসর। ঠিক সমভাবে নির্জীব এপারের বাসিন্দারা। এককালে যে বিদ্যুতের ব্যবহার ছিল এদিকে এর কিছুটা আভাস মিলে তার বিহীন কাঠের খুটিগুলো দেখে। বরঞ্চ এপারের গ্রামগুলো সে তুলনায় কিছুটা প্রাণবন্তু, জীবন্ত।
নয়ন তারা এপারের ইন্দ্রপুর গ্রামের নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়ে। কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার সুশ্রী মাধ্যমিক স্কুলপড়ুয়া মেয়ে। অভাব-অনটনের কারণে ক্লাস এইট পাশ করার পর পরই পাত্রস্থ করতে হলো। ছেলে জেলা শহরের একটি প্রাইভেট অফিসে ক্লারিক্যাল জব করে। সুন্দরী মেয়ে বলে প্রথম দেখাতেই পছন্দ এবং স্বল্পদিনের ব্যবধানে ছাদনা তলায়। বিয়ের পর এক সপ্তাহের জন্য বরের কর্মস্থলের বাসায় গিয়ে থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল। সে সময় তার রুমমেট ছুটিতে বাড়িতে অবস্থান করছিল। এ কটা দিন একে অপরের খুব কাছে যাবার ও থাকার সুযোগ হয়েছিল। বাস্ ও পর্যন্তই, ভাললাগার আর ভালোবাসার অধ্যায় ক্রমশ ফিকে হতে শুরু করে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে প্রথম প্রথম বাড়ি আসলেও আস্তে আস্তে তাতেও ছেদ পড়তে শুরু করে। মাঝে মাঝে দু’সপ্তাহ পড়েও আসতে থাকে রবিন। নয়ন তারা বুঝে উঠতে পারছে না কেন এমনটি হচ্ছে? কখনো কি ভুল বশত ভুল করে ফেলেছে সে? এমন কিছু হয়ে থাকলে সে ভুলটা ধরিয়ে দিলেইতো পারতো? ভুল শোধরানোর পথ তো খোলা থাকে প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রেই। তবে কেন এমন বৈরিতা তার বেলায়? যতই দিন যাচ্ছে ততই সম্পর্কের দূরত্বটা দীর্ঘতর হচ্ছে। বাড়ির অন্যান্যদের ভ‚মিকা আরও নাজুক, কারোর যেন কিছুই বলার নেই! এবার যখন রবিন ছুটিতে বাড়ি আসলো তখনই ঘটনার কিছুটা উন্মোচন হতে শুরু করলো। ভুল করে একদিন টেলিফোন বাড়িতে রেখে গ্রামের বন্ধুদের আড্ডায় গেলে বার বারই সে ফোনেতে কল আসছিল। জরুরি ভেবে কল রিসিভ করতে গিয়েই বার বারই একটি মেয়ের নাম দেখতে পায় নয়ন তারা। পড়ে স্ক্রল করে সে মেয়ের সাথে রবিনের বিভিন্ন আপত্তিকর ছবি দেখতে পায়। এ মেয়ের পরকিয়া সম্পর্ক যে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ককে বিঘিœত করেছে তা আর বুঝতে বাকি থাকে না। রবিনের সাথে নয়ন তারার সম্পর্ক ক্রমশই মন্দের দিকে যাচ্ছিল। না আছে তাদের মধ্য কোন পারিবারিক স্বাভাবিক সম্পর্ক না আছে স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক আচার আচরনসমূহ। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে তাদের মানসিক ও দৈহিক সম্পর্কগুলোর অবদমন, অবমূল্যায়ন হচ্ছিল তখনি নয়ন তারা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় এ গৃহ ত্যাগের।বাপের বাড়ি ফিরে এসে সে নিজকে অন্যভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সচেষ্ট হলো।বাড়ির প্রাত্যহিক বিভিন্ন কাজে সে সাহায্য করে। এছাড়াও, একটি এন জি ও তে নিয়মিত নকশিকাঁথা সেলাই করে সাপ্লাই দিতে শুরু করে। এতে করে প্রতি মাসে বেশ কিছু টাকা তার হাতে আসে। ওখান থেকে কিছু টাকা সংসারের জন্য খরচ করে এবং বাকি টাকা জমিয়ে রাখে। সেও স্বপ্ন দেখে একদিন ঐ গ্রামের বেকার মহিলাদের নিয়ে আরো বেশি নকশিকাঁথা বানানোর।
নয়ন তারার বৈবাহিক জীবনের সুখ বলতে রবিনের কর্মক্ষেত্রের আবাসস্থলে যে কটাদিন কাটিয়ে ছিল শুধু তাই। এর পর সুখের মুখ দেখার আর সুযোগ হয়নি তার। আপ্রাণ চেষ্টা করেছে তাকে ঘরমুখো করতে। কিন্তু, সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বার বার। কলি ফুল হোয়ে ফোটার আগেই বুঝি ঝরে পড়ে মৃত্তিকার কোলে। রূপ-যৌবনের চিত্র রেখা বড় অবেলায় মুছে গেল নিরব চোখের জলে। প্রেম, ভালোবাসা, সোহাগ, আদর ভাল লাগা শব্দগুলো ফিকে হতে হতে নিরুদ্দেশ হয়ে গেল একদিন। প্রবঞ্চনা, অবহেলা, অতৃপ্তি নয়ন তারাকে বিমুখ করেছে রবিনের সহযাত্রী হোয়ে পথ চলতে। সে তার বাকীটা জীবন মসৃন,সহজ, সরল করতে ফিরে আসে পিতৃ-গৃহে। নিজে অর্থকরি কিছু করে স্বাভলম্বী হতে চায় নয়ন তারা। সে ভাবনা থেকেই নকশিকাঁথা বানিয়ে বানিয়ে বিভিন্ন এন জি ওতে বিক্রি করতে শুরু করে। বর্তমানে সপ্তাহে তাকে অন্তত দুবার বের হতে হয় ওগুলো সাপ্লাই দিতে। আস্তে আস্তে ব্যবসার প্রসার ঘটতে থাকে। স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গিকার তাকে প্রতিনিয়ত তারিত করে লক্ষে পৌঁছাবার। দুঃখ পোষা নয়ন তারা এমন করেই এগিয়ে যেতে থাকে।
স্টেশন থেকে নয়ন তারাদের বাড়ির দূরত্ব প্রায় দের কিলোমিটার। এ পথটুকু তাকে পায়ে হেঁটেই যেতে হয়। অন্য কোন যানবাহনের ব্যবস্থা না থাকায় হাঁটাই একমাত্র অবলম্ভন। সাধারণত নয়ন তারা সমস্ত কাজ সেরে বিকেলের ট্রেনে করে বাড়ি ফিরে। সে দিনও নয়ন তারা বিকেলের ট্রেনে ফিরছিল কিন্তু, অর্ধেক পথ চলে আসার পর ট্রেনের ইঞ্জিনের বড় সমস্যা দেখা দেয়। প্রায় দুঘন্টা পর ট্রেন চালু হলে হিলি স্টেশনে পৌঁছতে সন্ধ্যা হয়ে যায় তার। এতে করে নয়ন তারা অনেকটা চিন্তিত হয়ে পড়ে। যদি তার পরিচিত কাউকে না পায় তাহলে নয়ন তারার বাড়িতে পৌঁছা কঠিন হয়ে যাবে। ট্রেন স্টেশনে থামার সাথে সাথেই প্ল্যাটফর্মে নেমে চেনা মুখ খুঁজছিল কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে। হাতে গোনা কয়েকজন যাত্রী নামলো, তাও আবার বেশির ভাগ ওপারের। এবার সত্যি সত্যি নয়ন তারাকে অনেকটাই একাকী, বিষন্ন মনে হলো। কী করবে সে বুঝে উঠতে পারছিল না। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি তাকে বাধ্য করলো স্টেশনের মূল অফিস ঘরের বারান্দায় এসে দাঁড়াতে। রাত বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বৃষ্টির ঝাপটাও বাড়ছে।
ল্যাম্পপোস্টের ক্ষীণ আলোতে মাঝে মাঝে কেঁপে উঠা তার ছায়ারাই তাকে সঙ্গ দিচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে ল্যাম্পপোস্টের কেরোসিন বাতির আলোক রশ্মির পরিধি ক্রমশ কমে আসছিল। এ কেমন এক গা ছম্ ছম্ করা পরিবেশ, নয়ন তারা একটু ভরকে গেল মনে হয়। অফিস ঘর থেকে অন্ধকার ছেদ করে হঠাৎ গাংগুরামের আবির্ভাব। গাংগুরাম এ স্টেশনের নাইট গার্ড কাম সিগন্যাল মেন। ওর বাবা রেলের ইঞ্জিনে কাটাপড়ে মারা যাওয়ার পর সে চাকরিটা পেয়ে যায়। মূলত ওদের আদি বাড়ি উড়িশ্যায়। কিন্তু, বহু বছর ধরে এখানেই বসতি স্থাপন করেছে ওরা।
গাংগুরামকে দেখে কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেল যেন নয়ন। দীর্ঘদিন ট্রেনে আসা-যাওয়ার সুবাদে গাংগুরাম ও নয়ন তারার মধ্যে একটা সুসম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। তাই কখনো দুজনের দেখা হয়ে গেলে দুদন্ড দাঁড়িয়ে কুশলাদি জিজ্ঞেস করে নেয়। গাংগুরাম নয়নকে দেখে কিছুটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে –
– এই বৃষ্টি- বাদলে তুমি কোত্থেকে?
– কাজেই গিয়েছিলাম কিন্তু কে জানে এমন বিপত্তি ঘটবে, মাঝ পথে ট্রেন বিকল হয়ে যাবে।
– বাড়ি যাবে কেমন করে, রাত হয়ে যাচ্ছে, বৃষ্টি সহসা থামবে বলে মনে হয় না। তোমার সাথে আর কেউ কি আছে?
– বাড়ির দিকে চেনা কাউকে পেলেতো ভিজে ভিজেই চলে যেতে পারতাম। এখন কি যে করি বুঝে উঠতে পারছি না।
– হুম, দিনের বেলায় হলে যেভাবেই হোক তোমার বাড়িতে যাওয়া যেত। আর, স্টেশন ফাঁকা রেখে যে তোমাকে বাড়িতে পৌঁছে দেব সে সুযোগও নেই। কি আর করা, কষ্ট করে না হয় রাতটা এখানেই কাটিয়ে দাও। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই বাড়ি চলে যাবে।
– তোমাকে একটু ঝামেলায় ফেলে দিলাম বোধ হয়?
– তা হবে কেন, তুমি সমস্যায় পড়েছো বলেইতো একটু সাহায্য করতে এগিয়ে এলাম। চল কথা না বাড়িয়ে রাতের খাওয়া-দাওয়ার আয়োজনটা সেরে ফেলি, খাওয়া শেষে গল্প করা যাবে রাতভর।
– তোমার একার খাওয়ায় আমি আবার ভাগ বসাবো?
– একদিন একটু কম খেলে মারা যাবো না। আর, ভাগাভাগি করে খাওয়ার মধ্যে একটা আনন্দ লুকিয়ে থাকে। ভেবোনা, আমার রান্নার আইটেম কম আছে। আলুসেদ্ধ, ডিমের তরকারি আর ডাল নিশ্চয়ই রাতের খাওয়াটা মন্দ হবে না?
– তুমি আর লেখা-পড়া করোনি কেন?
– বাবার এক্সিডেন্টে আকস্মিক মৃত্যু সংসারের হাল ধরতে হয় আমাকেই। ছাত্র হিসেবে মোটেও খারাপ ছিলাম না। অনেক স্বপ্ন ছিল লেখা-পড়া করে ভাল কিছু করার।
তুমিও না কি ভাল ছিলে লেখা-পড়ায়, তুমি ছেড়ে দিলে কোন কারণে?
– কন্যা দায়গ্রস্ত পিতার যেখানে নুন আনতে পানতা ফুরায় সেখানে উচ্চতর ক্লাসে লেখা-পড়া চালিয়ে নেয়া দুঃস্বপ্ন মাত্র। উপরন্তু মেয়ে যদি কিছুটা সুন্দরী থাকে তাহলে তো বোঝার উপর শাকের আটি। কোন মতে বিয়ে দিয়ে বিদায় করাই শ্রেষ্ঠ কাজ হবে।
– আসলে আমাদের দু’জনের লেখা-পড়া বন্ধ হোয়ে যাওয়ার মূলে রয়েছে দারিদ্র্য।
– তোমার হারিকেনতো নিভে যাচ্ছে?
– আসলে কেরোসিন আনতে ভুলে গিয়েছিলাম আর রাত্রিও তো অনেক, এখন শুয়ে পড়ি, কি বল?
– তুমি না বললে রাতভর আলাপ চালিয়ে যাবে? এখন একটু ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে, বৃষ্টির সাথে ঠান্ডা বাতাস তাই না?
– একটু কেন বেশ ঠান্ডা, দাঁড়াও একটা কাঁথা নামিয়ে দেই তোমাকে।
– বাহ্, সুন্দর তো নকশিকাঁথাটা!
– কংকার হাতে করা। আর তো কিছু নেই, ভালো বাসার স্মৃতি হিসেবে এটাই রেখে দিয়েছি বাকিটা মনের গহীনে।
– তুমি কি গায়ে দিবে? রাত বারার সাথে সাথে শীতের পরিমাণও বেড়ে যাবে অবশ্য।
– কিছু একটা গায়ে চাপিয়ে নেবো।
– তা কেন? কাঁথাতো বেশ চওড়া দুজনের সহজেই কভার হোয়ে যাবে। শোয়ার চৌকিটাও অনেক বড়, এখানেই না হয় শুয়ে পর কিচ্ছু হবে না।
– তোমার অসুবিধে না হলে আমারও তেমন কোন অসুবিধে নেই। অবশ্য গল্প করাটা জমবে ভালো।
– সবটুকু কাঁথাতো আমাকেই দিয়ে দিলে, নিশ্চয়ই তোমার ওপাশটায় কোন কাঁথা নেই?
– না না লাগবে না, পড়ে না হয় টেনে নেবো।
– পড়ে কেন এখনেই দিয়ে দিতে হবে।
আধশোয়া অবস্থায় নয়ন তারা গাংগুরামের ওপাশে যখন তার গায়ে কাঁথা টেনে দিচ্ছিল তখন গাংগুরামের এক ভিন্ন অনুভ‚তি হলো। একটা সুঘ্রাণ যেন তার আশপাশ ছাপিয়ে যাচ্ছিল। অনেক দিন পর পরিচিত একটি মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে আছে গাংগুরামের চারিধার। ঠিক এমন সুঘ্রানে ভরিয়ে রাখতো কংকা প্রতিরাতে তার দেহের চারিদিক। গাংগুরাম চোখ বুঝে একটি বার ভাবতে চেষ্টা করলো কংকার নিটোল লাবন্যভরা মুখখানি। ভালোবাসার রাতগুলো আজ নির্বাসিত। শুধু নির্ধারিত রয়ে যায় দুঃখময় নির্ঘুম রাতের প্রহরগুলো। একটুবাদে গাংগুরাম হারিকেনের সলতে পোড়া গন্ধে সম্বিত ফিরে পায়। কী এক ঘোরের মধ্যে ছিল এবং এখনো আছে সেই জানে। ওটা নিভাতে গিয়ে গাংগুরাম অসাবধানতা বশতঃ নয়ন তারার দেহের উপর পড়ে গেলে নয়ন তারার বিয়ের প্রথম রাতের স্মৃতি যেন সামনে এসে থমকে দাঁড়ায়। যে স্মৃতি তাকে ভীষণভাবে উচকে দেয়। বার বার তার ভাবতে ইচ্ছে করছিল কেমন করে, কিসের টানে একটি দেহ অপর একটি দেহের মধ্যে স্বেচ্ছায় বিলিন হয়ে যেতে চায় অবলিলায়? দুষ্টু কালো মেঘের মিষ্টি বারিধারায় প্লাবিত হতে চায় একুল ওকুল। দুঃখপোষা মেয়ের ভিতর এ কেমন ভ্রান্তি বিলাস! নয়ন তারার মন বার বার বলতে চেষ্টা করছিল, ‘গাংগু তুমি আমাকে আরও জড়িয়ে ধর, আমার অনেক শীত করছে, আমাকে ছুঁয়ে থাকো অনন্ত কাল। যেমন করে স্বর্নলতারা জড়িয়ে থাকে কোন অচেনা গাছকে। আজ ভোর হবে না, সূর্যও উঠবে না পূব আকাশে। নকশিকাঁথার নীল সামিয়ানার নীচে শুধু আমরা দু’জন।’
বিদ্যুৎ সরকার : লেখক ও আলোকচিত্রী, টরন্টো, কানাডা