অনলাইন ডেস্ক : গত বছরও দেশ থেকে সরকারি খরচে হজে গিয়েছিলেন ৭১ জন, ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি টাকা। রাষ্ট্রীয় টাকায় হজ পালনের বিধান নিয়ে বারবারই আলোচনা হলেও এটা বন্ধ করা হয়নি। তবে অন্তবর্তী সরকারের প্রথম হজ মৌসুম ঘিরে সিদ্ধান্ত পাল্টাচ্ছে। এ বছর সরকারি খরচে কেউই হজে যাচ্ছেন না।

এ বছর সরকারি খরচে কেউ হজ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

এর আগে সরকারি খরচে হজে যাওয়ার যে প্রথা আছে তা চিরতরে বন্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।

এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘সরকারি টাকায় হজ করা এক ধরনের বিলাসিতা। প্রতি বছর অনেক ক্ষমতাসীন রাজনীতিক ও সরকারের পছন্দের মানুষ রাষ্ট্রের টাকায় হজে যান। এটা শরয়ি (ইসলামি বিধান) এবং নৈতিক- কোনো দিক থেকেই সিদ্ধ নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এতে একদিকে যেমন দেশের টাকার অসৎ ব্যবহার হয়, পাশাপাশি এইসব লোকের পেছনে হজ অফিসকে বাড়তি মনোযোগ দিতে হয় এবং ব্যস্ত থাকতে হয়। এর ফলে সাধারণ হাজিরা তাদের যথাযথ সেবা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হন।’

সরকারি টাকায় হজ করা গৌরবের নয় দাবি করে তিনি বলেন, ‘সরকারি টাকা মানে জনগণের টাকা। জনগণ তো কাউকে হজের জন্য টাকা দেয় না। একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি জনগণের টাকায় হজ করছেন, এর মধ্যে কোনো গৌরব নেই। আছে প্রচ্ছন্ন লাঞ্ছনা।’