অনলাইন ডেস্ক : ইউক্রেনে রুশ অভিযানের আশঙ্কার মধ্যেই ১০ দিনের এক যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া ও বেলারুস।

বেলারুস রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ইউক্রেনের সাথে তাদের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এ সামরিক মহড়া উপলক্ষে রাশিয়া বেলারুসে যে সৈন্য সমাবেশ করেছে তাকে স্নায়ুযুদ্ধের পর বৃহত্তম বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি রাশিয়া তাদের ইউক্রেন-সংলগ্ন সীমান্তে এক লাখেরও সৈন্য সমাবেশ করার পর যেকোনও সময় তারা ইউক্রেনে অভিযান চালাতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করে। তবে রাশিয়া বারবার এরকম কোনও পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে।
বেলারুস ও রাশিয়ার এই যৌথ সামরিক মহড়াকে ফ্রান্স একটি “সহিংস ইঙ্গিত” বলে আখ্যায়িত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রও এ মহড়াকে এমন একটি পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছে- যা উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে।

ইউক্রেন বলছে, এটা মানসিক চাপ প্রয়োগের শামিল।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বৃহস্পতিবার বলেছেন, গত কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপ এখন তার সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা সংকটের সম্মুখীন।

কোথায় এই সামরিক মহড়া হচ্ছে?
এই মহড়ার নাম দেয়া হয়েছে ‘অ্যালাইড রিজলভ ২০২২’ এবং এটা ঘটছে বেলারুসের সাথে ইউক্রেনের সীমান্তের কাছেই। ইউক্রেনের সাথে বেলারুসের সীমান্ত ১০০০ কিলোমিটারের কিছু বেশি দীর্ঘ।

আশঙ্কা করা হয় যে যদি রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান চালায়, তাহলে এই মহড়ার জন্য আসা রুশ সৈন্যরা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের অনেক কাছাকাছি থাকবে এবং শহরটির ওপর আক্রমণ চালানো সহজ হবে।

মস্কো এবং মিনস্ক- কেউই এটা প্রকাশ করেনি যে তাদের ঠিক কত সৈন্য এ মহড়ায় যোগ নেবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, প্রায় ৩০,০০০ রুশ সৈন্য এতে অংশ নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।