অনলাইন ডেস্ক : উগান্ডার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এমপন্ডওয়েতে একটি স্কুলে মারাত্মক হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া অজানা সংখ্যক লোককে অপহরণ করা হয়েছে। শহরের মেয়র এবং স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টায় কাসেস জেলার স্কুলে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
শনিবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে এমপন্ডওয়ে-লুবিরিহা মেয়র সেলভেস্ট মাপোজে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ছাত্র, একজন প্রহরী এবং স্কুলের বাইরে নিহত স্থানীয় সম্প্রদায়ের দুই সদস্য রয়েছে।
মাপোজে বলেছিলেন, বিদ্রোহীরা ছাত্রাবাসে আগুন দেওয়ার সময় কিছু ছাত্র মারাত্মক দগ্ধ হয়েছে এবং অন্যদের গুলি করে বা কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ অবশ্য হামলার ধরন বা কিভাবে নিহতদের মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি। কয়েক বছরের মধ্যে উগান্ডায় সবচেয়ে ভয়াবহ এ হামলার বিবরণ স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
পুলিশ এর আগে অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসকে (এডিএফ) এই হামলার জন্য দায়ী করেছিল, যা ডিআর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলভিত্তিক উগান্ডার একটি গোষ্ঠী। তারা আইএসআইএল (আইএসআইএস) গোষ্ঠীর প্রতি আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
পুলিশ আগে বলেছিল, ২৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আটজন গুরুতর আহত অবস্থায় আছে, যাদের বেভেরা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জাতীয় পুলিশের মুখপাত্র ফ্রেড এনাঙ্গা বলেছেন, ডিআর কঙ্গো সীমান্ত থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে উগান্ডার কাসেজে অবস্থিত ব্যক্তিগত মালিকানাধীন স্কুলে হামলায় ‘একটি ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং খাবারের দোকান লুট করা হয়েছে’।
এনাঙ্গা বলেছেন, সেনা ও পুলিশের দলগুলো আক্রমণকারীদের ধাওয়া করেছিল। কিন্তু তারা সীমান্তের বীরুঙ্গা ন্যাশনাল পার্কের দিক দিয়ে ডিআর কঙ্গোতে পালিয়ে গেছে। সামরিক বাহিনীও একটি বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে, ডিআর কঙ্গোর অভ্যন্তরে উগান্ডার সেনারা ‘অপহৃতদের উদ্ধার করতে শত্রুদের তাড়া করছে’।
এদিকে উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইওওয়েরি মুসেভেনির প্রতিনিধিত্বকারী কর্মকর্তা জো ওয়ালুসিম্বি ফোনে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, কর্তৃপক্ষ হামলার শিকার এবং অপহৃতদের সংখ্যা যাচাই করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নিহতরা সবাই স্কুলের ছাত্র বলে নিশ্চিত হয়েছে।’ এ ছাড়া কিছু লাশ এমনভাবে পুড়েছে যে তা শনাক্ত করা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে সামরিক মোতায়েনের দায়িত্বে থাকা পশ্চিম উগান্ডার সেনাবাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল ডিক ওলুম বলেছেন, হামলাকারীরা তাদের লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করে হামলার দুই দিন আগে শহরে অবস্থান করেছিল।
সূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি