অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজ)। আইসিজের এই নির্দেশনা অমান্য করে ইসরায়েল যদি রাফায় হামলা অব্যাহত রাখে তাহলে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তা-ভাবনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইতিমধ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাও করেছেন ইউরোপের ২৭ দেশের জোটটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সোমবার (২৮ মে) আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন এসব তথ্য জানিয়েছেন। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
ব্রাসেলসে ইইউ-এর পররাষ্ট্র বিষয়ক কাউন্সিলের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মার্টিন বলেন, প্রথমবারের মতো ইইউ-এর বৈঠকে ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে দেখেছি।
গত রোববার রাফার একটি শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এই হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। শরণার্থীশিবিরে এই ভয়াবহ হামলায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। এই ঘটনার পরপরই বৈঠক বসে ইউরোপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
গত সপ্তাহে এক সাময়িক আদেশে রাফায় ইসরায়েলকে সামরিক অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। আদালত বলেন, ইসরায়েল সেখানে হামলা করলে আশ্রয়রত বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ধ্বংসের ঝুঁকি তৈরি হবে। আইসিজের এই রায়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েই তাদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মার্টিন বলেন, ইসরায়েলকে আইসিজের এসব নির্দেশনা মেনে চলতে হবে, সে বিষয়ে একমত হয়েছেন ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী রাফায় তাদের সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে।
আইরিশ সংবাদমাধ্যম আরটিই মার্টিনকে উদ্ধৃত করে বলেছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সহায়তা ও মদদ দেয়া ইসরায়েলের সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনার বিষয়টিও উত্থাপন করেছেন বেশ কয়েকজন ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইতিমধ্যে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতার অভিযোগে অনেক ইসরায়েলি অবৈধ বসতি স্থাপনকারীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এদের সব দেশই বিশ্ব রাজনীতিতে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র।