অনলাইন ডেস্ক : ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ইসরাইলের ব্যাপক বিমান হামলার পর পালটা হামলা চালিয়েছে ইয়েমেন। মিসাইল হামলায় ইসরাইলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর কাঁপিয়ে দিয়েছে ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধারা। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।

নেতানিয়াহু বাহিনী তাদের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে ইয়েমেনির সশস্ত্র বাহিনীর হাইপারসনিক মিসাইলটি আটকাতে পারেনি। এতে ইসরাইলজুড়ে সতর্ক সংকেত বেজে ওঠে এবং লাখো ইসরাইলি বাঙ্কারে আশ্রয় নেয়। বাঙ্কারে প্রবেশের সময় ১৮ জন আহত হয়। এদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর। হুথিদের হামলায় ইসরাইলের বিমানবন্দরটির কার্যক্রম ৩০ মিনিটের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।

এরআগে বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর, একটি সামরিক ঘাঁটি ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা। ওই হামলায় কমপক্ষে ৬ ইয়েমেনি নিহত হয়। হামলার সময় সানার বিমানবন্দরটিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেয়াসুস অবস্থান করছিলেন। তবে নিরাপদে আছেন তিনি। বিমানটির একজন ক্রু সদস্য আহত হয়েছেন।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা অনুযায়ী ইয়েমেনে হামলার সংখ্যা বেড়েছে। নেতানিয়াহু বলেছিলেন, শত্রু পক্ষকে নির্মূল না করা পর্যন্ত ইসরাইলি অভিযান অব্যাহত থাকবে। সানায় ইসরাইলি হামলাকে সফল বলে দাবি করেন তিনি। নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইলের যারা ক্ষতি করতে চাইবে, ইসরাইলও তাদের ভালো থাকতে দেবে না।