অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিমানবালাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে মাস্ক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’
ঘটনাটি ২০১৬ সালের। অভিযোগ আছে, মাস্ক যৌন হয়রানি করেছিলেন একজন বিমানবালাকে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে খরচ করেছেন আড়াই লাখ ডলার। গতকাল বৃহস্পতিবার বিজনেস ইনসাইডারের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
বিমানবালার বন্ধুর বরাত দিয়ে বিজনেস ইনসাইডার জানিয়েছে, ইলন মাস্ক একজন বিমানবালার সামনে নগ্ন হয়েছিলেন। তিনি জোরপূর্বক বিমানবালার উরুতে স্পর্শ করেছিলেন। মাস্ক বিমানবালাকে একটি ‘ঘোড়া’ কিনে দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যদি তিনি মাস্কের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হোন এমন শর্তে। তবে মাস্কের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্পেসএক্সের পক্ষ থেকে অর্থ ও সমঝোতার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলা হয় ঘটনাটি।
তবে এ ব্যাপারে ইলন মাস্ক বলছেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে এসব করা হচ্ছে। তবে কোন কিছুই আমাকে থামাতে পারবে না। একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ ও মানুষের বাকস্বাধীনতার জন্য কাজ করে যাব আমি।’
আজ শুক্রবার টুইটারে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া একটি টুইটের মাধ্যমে এসব কথা বলেন মাস্ক।
তিনি বলেন, ‘একজন বলছে আমি নাকি বিমানবালার সামনে নগ্ন হয়েছি। তিনি যদি আমাকে দেখে থাকেন, তাহলে অন্তত একটা প্রমাণ দেওয়া উচিত। আমার শরীরে কোথায় ট্যাটু কিংবা দাগ আছে, এমন কিছু বলে তার কথা সত্য প্রমাণ করা উচিত। মানুষেরও জানা উচিত কোনটি সত্যি আর কোনটি মিথ্যা। আমি জানি তিনি এগুলোর কিছুই বলতে পারবেন না। কারণ তিনি যা বলছেন সব মিথ্যা কথা। এমন কিছুই ঘটেনি।’
এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স থেকে স্পেসএক্স ও বিজনেস ইনসাইডারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কোন ধরনের সদুত্তর মেলেনি। এছাড়াও বিজনেস ইনসাইডারের অ্যাকাউন্টটি ভ্যারিফাইড কি না সে ব্যাপারেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।