অনলাইন ডেস্ক : ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় রাশত শহরের একটি হাসপাতালের বেইসমেন্টে মঙ্গলবার আগুন লেগে ৯ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ছয় নারী ও তিন পুরুষ কায়েম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ছিলেন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের পর হাসপাতালটির সব রোগীকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
স্থানীয় সময় রাত দেড়টায় আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং এর কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
গিলান ইউনিভার্সিটি অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের প্রধান মোহাম্মদ তাঘি আশোবি এদিন সাংবাদিকদের জানান, নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে থাকা একজন রোগী মারা গেছে। অন্য আটজন এর আগে মারা গেছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ‘এই রোগীদের মৃত্যুর কারণ গিলান মেডিক্যালের পরীক্ষক তদন্ত করছেন।’
আশোবি আরো বলেন, কায়েম হাসপাতালে থাকা পাঁচ শিশুকে ১৭ শাহরিভার শিশু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং তারা সুস্থ রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুসারে, হাসপাতালের ভূগর্ভস্থ একটি কক্ষে আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখানে জরুরি বৈদ্যুতিক জেনারেটরগুলো ছিল। অসমর্থিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপ বয়ে যাওয়া বিদ্যুৎবিভ্রাট বেড়েছে। তাই জেনারেটরগুলো ব্যাপক ব্যবহারের পর আগুন লেগেছে।
তবে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি। অগ্নিকাণ্ডের সময় ২৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে ১৪২ জন রোগী ছিল, যাদের মধ্যে ৩৩ জন নিবিড় পরিচর্যায় ছিল। এলাকার একাধিক হাসপাতালে কয়েক ডজন রোগীকে নিয়ে যেতে হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদি বলেছেন, তিনি আহতদের জন্য সহায়তার সমন্বয়, হাসপাতালের কার্যক্রম পুনরায় শুরু, নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং আগুনের কারণ অনুসন্ধান করতে প্রাদেশিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
প্রদেশের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান হাদি সালিমি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ৭৫ জন জরুরি কর্মীর সমন্বয়ে ২৬টি দল আটটি কাউন্টি থেকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানুয়ারির শেষের দিকে দেশটির রাজধানী তেহরানের ১৭তলা গান্ধী হাসপাতালে একটি বিশাল অগ্নিকাণ্ড হয়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ২০২০ সালের জুনে উত্তর তেহরানের একটি ক্লিনিকে গ্যাসের ক্যানিস্টারের কারণে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে আগুন লাগলে ১৯ জন নিহত হয়। গিলান প্রদেশের ল্যাঙ্গারুড শহরের একটি জরাজীর্ণ মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্রে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গত নভেম্বরে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়।
সূত্র : আলজাজিরা