অনলাইন ডেস্ক : ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত অনেকগুলো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে ওয়াশিংটন। একই সঙ্গে ইরানের প্রভাবশালী কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে কালো তালিকা থেকে বাদ দিতেও সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার তালিকায় আছে বিভিন্ন ধরনের বিমা, তেল ও জাহাজ চলাচল।
২০১৫ সালে পাঁচ বিশ্ব শক্তির সঙ্গে সাক্ষরিত তেহরানের থমকে যাওয়া পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবনে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্র রাজি হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে ইরান। ভিয়েনায় পারমাণবিক চুক্তি বাঁচাতে ইরানের একদল প্রতিনিধি ও চুক্তিতে সাক্ষরকারী অন্য পাঁচ দেশ চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ দফার আলোচনায় অংশ নেয়। এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা পরোক্ষভাবে অংশ নেন।
তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কারণে ইরানের সঙ্গে এই আলোচনা রোববার দু’দিনের জন্য স্থগিত করা হয়। ইরানের রক্ষণশীল বিচার বিভাগের প্রধান ইব্রাহিম রাইসি গত শুক্রবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। দেশটির কট্টরপন্থী এই বিচারক ও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রাইসিও যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় রয়েছেন। আগামী আগস্টে তিনি দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির স্থলাভিষিক্ত হবেন।
ইরানের প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ মাহমুদ ভায়েজি বলেছেন, সব ধরনের বিমা, তেল ও শিপিং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য একটি চুক্তি হয়েছে; যা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে আরোপ করা হয়েছিল।
দেশটির সরকারি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী ট্রাম্প আমলের আরোপিত এক হাজার ৪০টি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে ওয়াশিংটন। এছাড়া ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অভ্যন্তরীণ পরিষদের কিছু ব্যক্তি ও সদস্যের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহার হবে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ২০১৫ সালে পারমাণবিক কর্মসূচির লাগাম টানতে রাজি হয়েছিল ইরান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়ে তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পারমাণবিক কর্মসূচির সীমা বারবার লঙ্ঘনের মাধ্যমে ট্রাম্পের এই পদেক্ষেপের প্রতিশোধ নিয়েছে ইরান।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তিতে আবারও ফিরতে চান। তবে উভয় পক্ষ বলছে, অন্যদেরও তাদের প্রতিশ্রুতি পালনের দিকে ফিরে আসতে হবে।
সূত্র: রয়টার্স।