অনলাইন ডেস্ক : মহামারী করোনার মধ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও স্থানীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ত্যাগের মহিমায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আজহা পালন করেছে ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশীরা।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে শুক্রবার ইতালিসহ ইউরোপের প্রতিটি দেশে পালিত হয়েছে ইদ-উল- আজহা।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে দেশটির রাজধানী রোমের পিয়াচ্ছা ভিত্তোরিও পার্কে খোলামাঠে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও রোমের লার্গো প্রেনেস্তিনার খোলামাঠে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের দ্বিতীয় জামাত। তবে প্রশাসনের নির্দেশে অনেক জায়গাতেই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি।

এসময় দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীসহ এশিয়া ও আফ্রিকার প্রায় পঞ্চাশটি দেশের মুসলিমরা নামাজে অংশগ্রহণ করেন।

এসময় ইতালিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবাহান সিকদার রাজধানী রোমের পিয়াচ্ছা ভিত্তোরিও পার্কে খোলামাঠের জামাতে উপস্থিত হয়ে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দেশটিতে বসবাসরত সকল বাঙ্গালীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানান। এছাড়াও করোনার কারণে সবাইকে সতর্কতার সাথে চলাফেরা করার অনুরোধ জানান।

এছাড়া, একই সময়ে ইতালির বাণিজ্যিক রাজধানী মিলানের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিলান ছাড়াও নাপোলি, ভেনিস, ভারেজ, গাল্লারাত, আরেচ্ছোসহ ছোট বড় প্রায় তিন’শ জায়গায় ঈদুল আজহা’র জামাত আদায় করে দেশটির মুসলিমরা। প্রতিটি স্থানেই পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদের নামাজ আদায়ের জন্য ছিল বিশেষ ব্যবস্থা।

এসময় ভেনিস প্রবাসী রনি হাওলাদার বলেন, ঈদ মানেই পরিবারের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়া কিন্তু আমাদের পরিবার এখানে না থাকার কারণে সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারছিনা। সবার সাথে ঈদ করার আনন্দটা সত্যি খুব মিস করি। ঈদ মোবারক সবাইকে।

এছাড়াও গাল্লারাত প্রবাসী রাসেল হাওলাদার বলেন, ‘নানা ঝামেলার কারণে বেশকয়েক বছর যাবত দেশে ঈদ করা হয়না। বিদেশের ঈদ আর দেশের ঈদের মধ্যে অনেক পার্থক্য খুঁজে পাই । ঈদের সময় দেশের সবাইকে খুব মিস করি’।

দেশটিতে ঈদ উপলক্ষে ছুটি বা রাষ্ট্রীয় কোন পদক্ষেপ না থাকলেও বাঙ্গালী অধ্যুষিত এলাকায় বাঙ্গালীদের উপস্থিতিতে কিছুটা স্বদেশের আমেজ পাওয়া যায়।