অনলাইন ডেস্ক : ইকুয়েডরে গতকাল রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা) শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ, চলে বিকাল ৫টা (বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা) পর্যন্ত। রবিবার দেশটিতে ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে ভোটকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি গুলির ঘটনা ঘটেছে।

ভোট গননা শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছেন বামপন্থী লুইসা গঞ্জালেজ। প্রার্থীদের মধ্যে লুইসা একমাত্র নারী প্রার্থী। প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হয়েছে। দেশটির নির্বাচনী কর্মকর্তারা বলছেন, লুইসা ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ড্যানিয়েল নোবোয়া পেয়েছেন ২৪ শতাংশ।
রবিবারের প্রথম রাউন্ডের ভোটে জননিরাপত্তা ও শৃঙ্খলায় নিয়োজিত ছিল প্রায় ১ লাখ সেনা ও পুলিশ। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট গিলারমো ল্যাসো অভিশংসন ( কোনো সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অন্যায়ের অভিযোগ আনার প্রক্রিয়া) এড়াতে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। এরপরেই নির্ধারিত সময়ের আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ডাকা হয়।

নতুন রাষ্ট্রপতি ২৬ অক্টোবর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং মাত্র ১৮ মাস দায়িত্ব পালন করবেন। প্রেসিডেন্ট গিলারমো ল্যাসোর মেয়াদের বাকি অংশের দায়িত্ব পালন করবেন নতুন প্রেসিডেন্ট।

ইকুয়েডরে চলতি বছর বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদকেই হত্যা করা হয়েছে। তবে ৯ আগস্ট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিও’র মৃত্যুতে বিশ্বে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। ইকুয়েডরে একটি জনসভা চলাকালীন তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ফার্নান্দোর মৃত্যুর এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে আরেকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সাবেক প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়ার সিটিজেন রিভোলেশন (আরসি) দলের নাগরিক বিপ্লবের সংগঠক পেড্রো ব্রায়োনেস গুলিতে নিহত হন। এই একই দলের সদস্য লুইসা গঞ্জালেজ। ৪৫ বছর বয়সী গঞ্জালেস ইকুয়েডরের আটজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন।

জনসাধারণের ব্যয় ও সামাজিক কর্মসূচি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন গঞ্জালেজ। দারিদ্র্য ও অসমতার মতো দেশের সহিংসতার মূল কারণগুলো সমাধান করে নিরাপত্তা সংকট মোকাবিলা করতে চান তিনি। সাবেক প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া এখনও দেশটির জনগনের কাছে বেশ জনপ্রিয়। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশকে দারিদ্র্য মুক্ত করেছিলেন কিন্তু তারপরেও দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। বর্তমানে তিনি বেলজিয়ামে নির্বাসনে রয়েছেন।

সূত্র: বিবিসি