অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পর এবার ইউক্রেন থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কানাডাও।

ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার চলমান উত্তেজনার মধ্যে রোববার কানাডা সরকার এ ঘোষণা দিল। খবর আনাদোলুর।

বর্তমানে কানাডার যেসব সেনা ইউক্রেনে অবস্থান করছে, তাদের দ্রুত ইউরোপে ন্যাটোর অন্য কোনো ঘাঁটিতে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

কানাডা সেনাবাহিনী যখন নিরাপদ মনে করবে, তখন আবার ইউক্রেনে ফিরে আসবে।

এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি রোববার বলেছেন, ইউক্রেনে যে কোনো দিন রাশিয়া আক্রমণ করতে পারে— এমন আশঙ্কা থেকে সেখানে অবস্থানরত সেনাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

যে কোনো সময় আক্রমণ করার মতো রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন জন কিরবি।

ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার চলমান উত্তেজনার মধ্যে আমেরিকা ইউরোপে আরও তিন হাজার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে ন্যাটো সামরিক জোটভুক্ত দেশ পোলান্ডে পাঁচ হাজার সেনার সমাবেশ ঘটাতে যাচ্ছে আমেরিকা।

আগেই ইউরোপজুড়ে ৮০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। অন্যদিকে কৃষ্ণসাগরে ৩০টির বেশি যুদ্ধজাহাজের তৎপরতাকে রাশিয়া প্রশিক্ষণ মহড়া বলে উড়িয়ে দেয়। কিন্তু জন কিরবি বলছেন, এ মহড়া ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের ওপর হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

মর্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সতর্কবার্তা জারির পর ইউক্রেনে অবস্থানরত আমেরিকার নাগরিকদের জন্য পোল্যান্ড তাদের সীমান্ত খুলে দিয়েছে।

সেই সঙ্গে ফ্লোরিডা ন্যাশনাল গার্ডের ১৬০ সদস্যকেও সরিয়ে নেয় আমেরিকা। এসব গার্ড ইউক্রেনের সেনা সদস্যদের প্রশিক্ষণে নিয়োজিত ছিল।